আজ ফরিদপুরের বদরপুর আফসানা মঞ্জিলে এক মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। একমাসের বেশী সময় পর করোনা থেকে সুস্থ হয়ে গতকাল বিকেল তিনটার দিকে তিনি ফরিদপুরের বাড়িতে পৌছান। এ সময় দলীয় নেতা কর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান এবং করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে দোয়া করা হয়।
এ সময় এমপি মোশাররফ হোসেন বলেন, গত মাসে ফরিদপুর থেকে যাওয়ার পর আমার করোনা পজিটিভ আসে। তখন বেশ ভয় পেয়েছিলাম কিন্তু আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে আর আপনাদের দোয়ার বরকতে দীর্ঘ ২১ দিন করোনার সাথে যুদ্ধ করে আমি সুস্থ। এই বয়সে কারও করোনা হলে বাচার কথা না কিন্তু আল্লাহ হাত ধরে আমাকে আপনাদের মাঝে রেখে গেছে। বাকিটা জীবন আপনাদের সেবায় আমি নিয়োজিত থাকবো।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমরা একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আজ কি কারণে দলের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি হবে? ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগ দীর্ঘদিন পরে হলেও সুসংগঠিত ছিল তবে কিসের স্বার্থে আজ দলের মধ্যে বিশৃংখলা তৈরী হচ্ছে? এতদিন যারা নিয়মিত এখানে আসতো আজ তারা কোথায়? মানুষ কাজ করতে গেলে ভুলত্রুটি হতেই পারে, আমরা ভুল করছি, আপনারাও কি ভুল করেননি? আসুন সব কিছু ভুলে একত্রিত হয়ে কাজ করি, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি। আরও তিন বছর সরকারের মেয়াদ আছে, এই মেয়াদকালে উন্নয়নের যে কাজগুলো বাকি রয়েছে তা সকলে মিলে সম্পুর্ন করি। আপনাদের কাছে অনুরোধ দয়া করে দলের মধ্যে বিদ্বেষ বিশৃংখলা সৃষ্টি করবেন না।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও কোতোয়ালি আওয়ামীলীগ সভাপতি আঃ রাজ্জাক মোল্লা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুম রেজা, ফরিদপুর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক হোসেনসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণ।