‘বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে’ এক বিভাগের সভাপতি নিয়োগ দেয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্যসহ (ভিসি) ছয়জনকে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশ প্রাপ্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোহবান, দুই উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী এবং কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সালেহা জেসমিন।
ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মু. আলী আসগরের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এই নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী নিজে।
করোনাভাইরাসের কারণে ই-মেইলে ওই শিক্ষকের পক্ষে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে জানান তিনি। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তা না হলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন এই আইনজীবী।
ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৯ মে ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে তিন বছরের জন্য বিভাগের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার মেয়াদ শেষ হয় গত ৮ মে। ‘জ্যেষ্ঠতার নিয়ম অনুযায়ী’ অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের পর অধ্যাপক মু. আলী আসগরের সভাপতি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধ্যাপক আলী আসগরকে বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। যাতে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩-এর ২৯ ধারার (৩) (১) জ্যেষ্ঠতার নিয়ম’ লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী বিভাগে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সভাপতি নিয়োগ দেয়া হবে। কিন্তু এটা না করে একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে বাদ দিয়ে তার চেয়ে কম জ্যেষ্ঠ এক শিক্ষককে সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া অধ্যাপক আলী আসগরকে এ বিষয়ে আগে কোনো নোটিশও দেয়নি প্রশাসন। এ ঘটনা স্পষ্টভাবে অধ্যাদেশকে পুরোপুরি লঙ্ঘন করেছে।