বাগমারায় পান নিয়ে বিপাকে কৃষক, প্রশাসনের তৎপরতা বৃদ্ধি
বাগমারা প্রতিনিধি: লকডাউন ঘোষনার পর থেকেই বেকাদায় পড়েছেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার পান চাষীরা। উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য পুলিশ এবং সেনা বাহিনীর তৎপরতার কারনেই উপজেলার পানসহ অন্যান্য বাজার গুলো বন্ধ হয়ে গেছে। হাটবাজার গুলো বন্ধের কারনেই পান চাষী কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পান গুলো বাজারজাত করতে পারছেন না। পান গুলো বাজারজাত করতে না পারায় বেকাদায় পড়েছেন তারা।
এলাকার পান চাষীদের অভিযোগ, পান হচ্ছে পঁচনশীল জিনিস। পান বাজারজাত করতে না পারলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লক্ষ লক্ষ কৃষকের কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হবেন বলে তারা জানিয়েছেন। অবিলম্বে পান বিক্রির ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের উবর্ধতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাগমারা উপজেলা প্রশাসন শক্ত অবস্থানে রয়েছে। জনসমাগম এড়ানোর জন্য উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশের বিশেষ দল মাঠে কাজ করছে। এছাড়াও হাটবাজারসহ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল মনিটরিং করার জন্য সেনা বাহিনীর দল পুলিশের পাশপাশি একই সাথে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। রাজশাহী জেলা লকডাইনের পর পরই পান চাষীসহ ফসল উৎপাদনকারী সকল কৃষকেরা বেকাদায় পড়েছেন। হঠাৎ নারায়নগঞ্জ থেকে আগত এক গার্মেন্স কর্মীর দেহে করোনা ভাইরাসের লক্ষন দেখা দিয়েছে। এমন ঘটনায় উপজেলার সর্বত্রই চলছে কড়াকড়ি ব্যবস্থা। জনগনকে ঘরে অবস্থান করার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তারা রাত-দিন হাটবাজারসহ গ্রামগঞ্জের সাধারন মানুষদের সচেতন করতে শুরু করেছেন। এছাড়াও পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যরা মাইকিং করে এলাকার জনগনকে বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে যেতে নিষেধ করছেন। সেনা বাহিনীর এমন কর্মকান্ডে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মানুষ। বাগমারা-মোহনপুর উপজেলার দায়ীত্ব প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট শেখ আরমান হোসাইন এই প্রতিবেদককে জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সেনা বাহিনীর সদস্যরাও মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। কোথাও কোন জনসমাগম দেখলেই সেনা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে ছত্রভঙ্গ করছে। জনসমাগমের মাধ্যমেই করোনা ভাইরাস বিস্তার করতে না পারে সে দিকে লক্ষ রেখেই সেনা সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের সাথে সেনা সদস্যরাও মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। সবাই এক সঙ্গে মাঠে কাজ করার জন্যই হাটবাজারসহ গ্রামগঞ্জে জনসমাগম অনেকটাই কমে গেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।