অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী রানা গ্রেফতার হলেও প্রধান সহযোগী মাসুদ সহ বাঁকিরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে
মোঃ চাঁদ আলী,কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।।
দৌলতপুর উপজেলার সিরাজনগর গ্রামের মোঃ মহরুম মন্ডলের ছেলে মোঃ রানা (২৩) মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী অস্ত্র ও গুলি সহ গ্রেফতার হলেও প্রধান সহযোগী মাসুদ সহ ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে মামলার অন্য আসামীরা।
এই মামলার রানা গ্রেফতার হলেও অন্যান্য আসামীরা হল- বাহিরমাদি পূর্ব পাড়ার এলাকার মৃতঃ জারমান আলী সরদারের ছেলে সাইফুল (৩৮), একই এলকার সামছুল ফকিরের ছেলে মোঃ মাসুদ (২৭), বাহিরমাদি এলাকার মোঃ আফেল উদ্দীনের ছেলে সুমন (২৭)।
জানা গেছে, গত ০৭-০৪-২০২০ এপ্রিল রাত ১০ সাড়ে দিকে ওয়াপদার বাধের পাশে অবৈধ মাদক ও অস্ত্র ক্রয় বিক্র করার সময় গোপন সংবাদ পেয়ে এসআই রাজীব রায়হান দৌলতপুর থানার সংগীয় এসআই কবীর হোসেন, মোঃ শাহানুর রহমানের উপস্থিত টের পেয়ে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী চড়াও হয় ফলে পুলিশ কৌশলে আক্রমণ করলে সহযোগীরা পালিয়ে যা।। আসামী রানা পালানোর সময় বাঁশের কন্চিতে ওয়াবদার কেনালে পড়ে যায় এসআই কবীর হোসেনের সাথে ৫-৭ মিনিট ধস্তাধস্তি হওয়ার পরে রানা অস্ত্র ম্যাকজিন ও গুলি সহ আটক করা হয়।
সূত্র জানায়, রানা গ্রেফতার হলেও মামলার উল্লেখিত আসামীরা এলাকায় বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করছে। তবে, মাদক ও অস্ত্র মামলায় রানা গ্রেফতার হলেও তার সহযোগিরা এখনও ধরাছোয়ার বাইরে থাকায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে গোটা এলাকা জুড়ে। তাই অতি দ্রুত সকল আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোড়ালো দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সাধারণ বাসীন্দারা।
এদিকে মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরেই মাদক ও অস্ত্র মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী, সহ হত্যাকান্ডের মত ভায়ানক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে চলেছেন রানা প্রধান সহযোগী মাসুদ। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে রানার লালিত সন্ত্রাসীদের একের পর এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও তান্ডবের ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এলাকার সর্বস্তরের বাসীন্দারা।
দৌলতপুর থানার ওসি আরিফুর রহমান আরিফ জানান, ‘মামলার সকল আসামীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’