খুলনা, ০১ শ্রাবণ (১৬ জুলাই):
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক কেসিসি’র প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প, জাতীয় নগর দারিদ্র হ্রাসকরণ কর্মসূচির আওতায়, ডিএফআইডি ও ইউএনডিপি’র অর্থায়নে এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সহযোগিতায় আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, শিক্ষানবীস ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থ-সামাজিক তহবিলের অনুদানের অর্থ বিতরণ করেন।
অনুদানের চেক বিতরণকালে সিটি মেয়র বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত চিন্তা করে উপবৃত্তি, অনুদানের অর্থসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, এই অর্থ সঠিকভাবে বিতরণে কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে হবে। অনুদান বিতরণে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না।
পরে সিটি মেয়র টোকেন হিসেবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, শিক্ষানবীস শিক্ষার্থী এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ করেন। এসময় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মোঃ মোস্তফা মিয়াসহ এক্সপার্ট, সিডিসি, ক্লাস্টার প্রতিনিধি এবং সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী শিক্ষা সহায়তা বাবদ ৫০ শতাংশ হিসাবে প্রথম কিস্তি এক হাজার আটশত টাকা প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি, দুই হাজার চারশত টাকা পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি, চার হাজার পাঁচশত করে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ২৪ জনকে ৮৮ হাজার পাঁচশত টাকা এবং আট জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা করে ৮০ হাজারসহ মোট এক লাখ ৬৮ হাজার পাঁচশত টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।
এছাড়াও ২০১৯ সালের বরাদ্দ অনুযায়ী চিত্রা সিডিসি ক্লাস্টারের প্রথম থেকে ১০ম শেণি প্রর্যন্ত শিক্ষা সহায়তা বাবদ দুইশত ৮৪ শিক্ষার্থীকে সাত লাখ ৬৩ হাজার পাঁচশত টাকা, ক্ষুদ্র ব্যবসায় ২০ জনকে দুই লাখ টাকা এবং শিক্ষানবীস ৩০ জন শিক্ষার্থী চার লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট তিনশত ৩৪ জনকে মোট ১৪ লাখ ১৩ হাজার পাঁচশত টাকা রকেট একাউন্টের মাধ্যমে প্রদান করা হবে। এই প্রকল্প খুলনা নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়া ৩০টি ওয়ার্ডে চলমান রয়েছে।
আর্থ-সামাজিক তহবিলের উপকারভোগীর প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ: ক্ষুদ্র ব্যবসায় অনুদান এককালীন ১০ হাজার টাকা, শিক্ষানবীস অনুদান নয় হাজার টাকা (প্রতি মাসে এক হাজার পাঁচশত করে তিন মাসে চার হাজার পাঁচশত এবং ছয় মাসে নয় হাজার টাকা), শিক্ষা অনুদান প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত দুই বারে মোট তিন হাজার ছয়শত টাকা, পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত দুই বারে মোট চার হাজার আটশত টাকা এবং অষ্টম থেকে তদূর্ধ্ব শ্রেণির জন্য দুই বারে মোট নয় হাজার টাকা করে রকেট একাউন্টের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।