ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য কামাল হোসেনের গাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা কামালের প্রাইভেটকারটি ভাংচুর করে এবং গাড়ীতে থাকা গাড়ীর চালকসহ তিনজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এসময় স্হানীয়রা এগিয়ে আসার কারনে প্রানে বেঁচে যায় কামাল হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের শাকপালদিয়া গ্রামে ১৫মার্চ রবিবার রাত ১১টার দিকে। আহতরা হলেন, ইউসুফ মোল্লা (২৬), খায়ের তালুকদার (৫২) ও মুজিব মন্ডল (৫৫)। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কামাল হোসেন জানান, শাকপালদিয়ার জনৈক কলম ফকিরের বাড়ীতে বিচার গান শুনে তিনি ও তার চারসহযোগী রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ীতে ফিরছিলেন। এসময় পথিমধ্যে ২০/২৫ জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিত প্রাইভেটকারে হামলা চালায়। এসময় তারা লোহার রড দিয়ে গাড়ীর সব গুলো গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে। একপর্যায়ে তারা গাড়ীতে থাকা লোকজনকে বেদমভাবে কোপানো শুরু করে। তাদের চিৎকারে স্হানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। কামাল হোসেন বলেন, আমাকে প্রানে মেরে ফেলার জন্যই পরিকল্পিত ভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে। স্হানীয়রা দ্রুত এগিয়ে না এলে তারা আমাকে মেরে ফেলতো। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারে থাকা চারজনের মধ্যে তিনজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত খায়ের বলেন, বিচার গান শেষে প্রাইভেটকারটি নিয়ে তালমা আসার পথে উত্তর শাকপালদিয়ার ত্রিমোহনায় এলে অতর্কিত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। হামলাকারীরা গাড়ীকে লক্ষ্য করে প্রথমে বৃষ্টির মতো ইট নিক্ষেপ করে। এতে গাড়ী থামাতে বাধ্য হলে হামলাকারীরা লোহার রড, লাঠি, রামদা দিয়ে গাড়ীতে আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা গাড়ীতে থাকা লোকজনের উপর হামলা চালায়।
উল্লেখ্য আগামী তালমা ইউপি নিবার্চনে কামাল হোসেনের চেয়ারম্যান পদে নিবার্চনের কথা রয়েছে।
নগরকান্দা থানার ওসি(তদন্ত) মিরাজ হোসেন জানান, ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।