এপ্রিল ১৬-২০২০ মোঃ চাঁদ আলী,কুষ্টিয়াপ্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়া জেলা দৌলতপুর থানা ১৪ নং আড়িয়া ইউনিয়নের লালনগর বাজারপাড়ায় গ্রামের মামুন (২৮) সৌদিআরব প্রবাসী এর স্ত্রী মোছাঃ হাফিজা খাতুন (২৪) একসন্তানের জননী নাম হামিম (৩) রেখে আনুমানিকভাবে ভোর রাতে নিজ গৃহে গলায় ফাঁস দিয়ে পারিবারিক কলহে আত্মহত্যা করেন বলে জানা যায়। হাফিজার পিতার বাড়ি জগন্নাথপুর গ্রামের। ঘটনাসৃত্রে জানা যায় হাফিজা ছেলে গতকাল বিকালে তার ছেলের সাথে পাশের বাড়ির ছেলের সাথে খেলতে গিয়ে ঝগড়া হয় বলে জানা যায় এবং রাতে তার স্বামীর সাথে হয়তো কথা বা কোন কিছু নিয়ে কথা কাটাকাটি বা মনোমালিন্য হয় বলে ধারনা করছে। তার শ্বশুর জানায় তার পরিবারে কোন ঝগড়া বা কলহ নেই । কিন্ত লাশের শরীরে আঘাত এর চিহ্ন পাওয়া যায় কয়েক জায়গায়। সকালে হাফিজার ৩বছরে ছেলে হামিম ঘুম থেকে উঠে তার আম্মুকে ডাকলে কোন সাড়া দেয় না, তখন তার দাদিকে ডেকে বলে দাদি আম্মু ঝুলছে তখন তার শাশুড়ি ও আশেপাশের কয়েকজন মিলে লাশ নামায়। যে ঘরে গলায় ফাঁস দেয় ঠিক তার পাশের রুমে থাকেন তার শ্বশুর শাশুড়ি । যখন গলায় ফাঁস দেয় তখন শব্দ বা হাত-পা নাড়ানোর কোনো শব্দ শুনতে পাই নাই। তারা কি এতটাই ঘুমন্ত ছিলো তাহলে। আর হাফিজার ঘরের দরজা একপাল্লা দেওয়া ছিলো আরেক পাল্লা দেওয়া ছিলো নাই। এ বিষয়ে হাফিজার পিতা বলেন তার মেয়ে গত কয়েকদিন আগে এখানে আসেন এবং তার কাছে সকালে কোন এক প্রতিবেশি ফোন করে বলে তার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করছে, সংবাদ শুনে দ্রুত চলে আসেন এখানে। দৌলতপুর থানার ইনচার্জ অফিসার আরিফুর রহমান ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেন , সাময়িক ভাবে মহিলা পুলিশের মাধ্যমে লাশের তদন্ত করে গলায় রশির দাগ, কপালে আঘাত ও পায়ে চিহ্ন পেয়ে লাশের তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। এ সময় সাংবাদিকদের বলেন ময়না তদন্ত করলে জানা যাবে হত্যা না কি আত্মহত্যা । হাফিজার মা ও বাবা তার মেয়ের সু্ষ্ঠ বিচার দাবি করেন।