মধুখালী(ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজের থার্ড অফিসার মো. তারেকুল ইসলাম অবশেষে বাড়ি ফিরেছেন। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ৫ মাস ২০ দিন পর বুধবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ছকরিকান্দী বাড়িতে পৌঁছান তিনি।
তারেকুলকে পেয়ে তার বাবা-মা, স্ত্রী, মেয়ে, শ্বশুর-শাশুড়ি, এলাকারলোকজনসহ পরিবারের সদস্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারেকুলের বাড়ি আসার সংবাদ পেয়ে এলাকার লোকজন দলে দলে বাড়িতে এসে ভীড় করছেন।
এরপর সাংবাদিকদের কাছে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকার ভয়াবহ সেই দিনগুলোর কথা তুলে ধরেন তারেকুল।
তারেকুল বলেন, এখন খুবই ভালো লাগছে। ভেবেছিলাম কখনো আর বাড়িতে আসা হবে না। জীবনের মায়া ছেরে দিয়েছিলাম। জিম্মি থাকাকালীন আমাদের চেয়ে আমাদের পরিবারের লোকজন আরও বেশি দুশ্চিন্তায় ছিল। বাড়িতে আসায় পরিবারের লোকজন দুশ্চিন্তামুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, তখন রমজান মাস ছিল। জলদস্যুরা শারীরিক নির্যাতন করেনি। তবে মাঝেমাঝে দুর্ব্যবহার করত এবং আমারদের ভয় দেখাত। তারাও রোজা থাকতো না। তখন মানসিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। কী হবে বুঝতে পারছিলাম না। ফিরে আসতে পারবো কিনা তাও জানতাম না। সেই দিনগুলো ছিল খুবই ভয়াবহ। জলদস্যুরা নামাজ পড়তে ও রোজা রাখতে বাধা দেয়নি।
তারেকুলের বাবা বলেন আমি ২১টি রাত ঘৃমাইনি। ওর চিন্তায় শেষের ২টা রোজাও থাকতে পারিনি। জীবন যে কিভাবে কেটেছে তা বলে বোঝানো যাবেনা। এখন খুবই ভাল লাগছে। তারেকুল ফিরে আসায় সরকার,প্রশাসন, জাহাজ মালিক, সাংবাদিক সহ যারা ওদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
তৌফিকের মা হাসিনা বেগম বলেন, আমার বুকের ধন ফিরে এসেছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।
তারেকুলের এক বছর বয়সী মেয়ে তানভিয়া বাবাকে ফিরে পেয়ে খুবই খুশি। বাড়িতে বাবার সাথেই সর্বোক্ষন সময় কাটাচ্ছেন তানভিয়া।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহ এবং জাহাজের ২৩ নাবিককে জিম্মি করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। তারেকুল ওই ২৩ নাবিকের একজন।
সালেহীন সোয়াদ
মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
মোবাঃ ০১৯১৩-৮২৯৭৯৮
তাং-১৫/৫/২৪