সাকিব খান, জেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইলঃ
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ইটভাটায় রাধুনীর কাজে নিয়োজিত মহিলার সাথে ইটভাটার মালিক এর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারিরিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে।
উপেজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের তিরছা গ্রামে অবস্থিত এম কে টি ব্রিকস এ রান্নার কাজে নিয়োজিত প্রায় চল্লিশ বছর বয়সী ওই ভুক্তভোগী মহিলা ঝর্ণার(ছদ্ম নাম) দাবি আমি ইটভাটায় কয়েকমাস রান্নার কাজে নিয়োজিত ছিলাম, আমি মূলত রান্না করে ইটভাটার মালিকদের খাবারের ব্যবস্থা করতাম। বেশকিছুদিন কাজের একপর্যায়ে ইটভাটার অংশীদার হাজী কাদের আমাকে প্রেমের প্রস্তাব, প্রেমের প্রস্তাবে আমি রাজি না হলে, সে তার স্ত্রীর শারিরিক অসুস্থতার কথা বলে আমাকে মানসিকভাবে তার প্রতি দূর্বল করে ফেলে। আমিও তার কথায় গলে গিয়ে মন দিয়ে ফেলি। এরই একপর্যায়ে তার স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায়, স্ত্রীর শারিরিক অক্ষমতার কথা বলে, আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারিরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। কিছুদিন পর আমাদের প্রেমের সম্পর্ক জেনে গেলে, ইটভাটার অন্যান্য অংশীদার জেনে গেলে, আমাকে কৌশলে ছুটির কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ইটভাটা থেকে বিতারিত করা হয়। এরপর আমি কাদের এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে সে বলে তুমি চিন্তা করনা আমি তোমাকে বিয়ে করব শুধূ আমাদের সম্পর্ক গোপন রাখ। তারপর সে আমার সাথে গত বছর এর ডিসেম্বর এর ৬ তারিখে দেখা করে আমার পুরাতন নম্বর পাল্টিয়ে নতুন মোবাইল ও সিম কিনে দেয়। এরপর আমরা তার বিয়াই বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাই। আমি বিয়ের কথা বললে সে খালি সময় নিতে থাকে। একপর্যায়ে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়, আমি উপায় না দেখে পুনরায় গত ৭ই মার্চ ইটভাটায় গিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করি, সে তখন আমাকে দেখে ইটভাটা থেকে দ্রুত পলায়ন করে। তখন স্থানীয় লোকজন আমাকে বুঝিয়ে আমার বাসায় পাঠিয়ে দেয়। ভুক্তভোগী ঝর্ণা কান্না জড়িত কন্ঠে বলে আমার এই ঘটনা চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে আমি মানসম্মানের কারণে কারও নিকট অভিযোগ করতে পারছি না এছাড়াও মামলা করলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ও আমাকে বিয়ে না করলে আমার মরণ ছাড়া কোন গতি থাকবে না, এই বলে সে ব্যাগ থেকে বিষের বোতল বের করে এই প্রতিনিধিকে দেখায়।
অভিযোগের সত্যতা যাচাই এর জন্য এম কে টি ব্রিকস এর অংশীদার হাজী কাদের এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি বিষয়টি বারবার এড়িয়ে গেছেন, একপর্যায়ে তার মুঠোফোনে বিষয়টি জানার জন্য ফোন দিলে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, ওই মহিলার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
এব্যাপারে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জনাব আনিসুর রহমান বলেন বিষয়টি সম্পর্কে আমরা কোন অভিযোগ পাই নাই, অভিযোগ পেলে আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।