ফরিদপুরে ভিজিএফ এর চাল পেল দরিদ্র জনগোষ্ঠী

জিল্লুর রহমান রাসেল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী অধিকাংশ মানুষ আজ ঘরবন্দি। ক্রমান্বয়ে বাড়ছে আক্রান্তদের সংখ্যা আর মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। বিশেষ করে রিক্সাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর জাতীয় মানুষ আজ সব থেকে বেশি অসহায়। গরীব ও অসহায় পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের দিক নির্দেশনায় ও সদর উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এবং অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে আজ (১৭-০৪-২০) শুক্রবার সকালে নিজ নিজ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মাসুম রেজা উপস্থিত থেকে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করেন। সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ২৫০ পরিবার ও নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৩৭৫ পরিবার মোট ৬২৫ পরিবারের মাঝে প্রতি পরিবারকে ৮ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাকুজ্জামান বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া গরীব ও অসহায় পরিবারের খাদ্য সুরক্ষায় সরকার থেকে যে চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে, সে চাল ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের দুস্থ ও অসহায় পরিবারকে পৌঁছে দিচ্ছে ওয়ার্ড মেম্বারগণ। তিনি আরও বলেন, আধুনিক ফরিদপুরের রুপকার, ফরিদপুর সদর -৩ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দিক নির্দেশনায় জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সার্বিক তত্বাবধানে এবং ইউ এন ও এর ব্যবস্থাপনায় আমাদের ইউনিয়নগুলোতে আমরা সফলভাবেই আমাদের কাজ করে যাচ্ছি। একটি মানুষও যেন বলতে না পারে যে আমি না খেয়ে আছি আমরা সে লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাক মোল্লা, নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন, অম্বিকাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ বারী চৌধুরী, উপজেলা মৎস কর্মকর্তা বিজন কুমার নন্দী প্রমুখ।
অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বারী চৌধুরী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানেরা ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো মিলে খেটে খাওয়া মানুষগুলো ও দুস্থ পরিবার এবং শ্রমিকেরা, যারা ঘর থেকে বের হতে পারছেনা তাদের মাঝে আরও ব্যপক ভাবে থাকতো তাহলে তেমন কোন সমস্যাই থাকতো না। তবে সকলের খেয়াল করা উচিত যেন সঠিক দুঃস্থরা খাদ্যশস্য পায়।