ঈদের ৫দিন আগেই শুরু হলো পদ্মা নদীর ভাড়া নৈরাজ্য
চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার ঘরমুখো ঈদযাত্রীদের কাছ থেকে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই পদ্মা নদীর চর মৈনট ঘাট কর্তৃপক্ষ যাত্রী প্রতি অতিরিক্ত ২শ’ টাকা হারে ষ্পীডবোট ভাড়া আদায় নৈরাজ্য চালিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। সরকার নির্ধারিত ষ্পীটবোট ভাড়া ১৫০ টাকার স্থলে ঈদের ৫দিন আগে থেকে ২শ’ টাকা হারে ভাড়া আদায়ের বিষয়টি জনমনে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, গত ক’মাস ধরে উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর ও চর মৈনট ঘাট দুটিদে সরকার নিয়ন্ত্রনধীণ খাস কালেকশান হচ্ছে। পদ্মা নদীর গোপালপুর ঘাটটি চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চর মৈনট ঘাটটি দোহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিয়ন্ত্রন করে থাকেন। ঘাট দু’টিতে পদ্মা নদী পারাপারে ষ্পীটবোট ভাড়া নির্ধারন রয়েছে যাত্রীপ্রতি ১৫০ টাকা।
কিন্ত মঙ্গলবার দুপুর থেকে ঢাকা থেকে ঘরে ফেরা যাত্রীরা চর মৈনট ঘাট থেকে ২শ’ টাকা হারে ভাড়া দিয়ে আসছেন বলে জানিয়েছেন। উক্ত ঘাটে সরেজমিনে গেলে ঢাকা থেকে বাড়ী ফেরা এক ঈদযাত্রী উপজেলা বিএস ডাঙ্গী গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন আহাম্মেদের ছেলে চাকুরীজীবি মোঃ মিজানুর রহমান জানান, “ বাড়ী ফেরার উদ্দেশ্যে গুলিস্থান থেকে চর মৈনট ঘাটে আসার পর ষ্পীডবোটের টিকিট মূল্য রেখেছে নগদ ২শ’ টাকা। উক্ত ঘাটে যাত্রী পারাপারের জন্য কোনো ষ্পীডবোট ছিল না। ফলে টিকিট হাতে নিয়ে প্রখর রোদ্র তাপ সহ্য করে পদ্মা চরে প্রায় ৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে। দীর্ঘ সময় পর গোপালপুর ঘাট থেকে ফিরতি ষ্পীডবোট চর মৈনট ঘাটে ফিরে আনলোড হওয়ার পর পদ্মা পারাপার হয়েছি”। আরেক যাত্রী শেখ সানাউল্লাহ বলেন, “ ঘাট নিয়ন্ত্রন করেন দুই উপজেলার দুই ইউএনও। আর সরকার ভাড়া নির্ধারন করেছেন যাত্রী প্রতি ১৫০ টাকা। কিন্ত আজ যাত্রী প্রতি ভাড়া আদায় হচ্ছে ২শ’ টাকা। তাহলে অতিরিক্ত ৫০ টাকা ভাড়াতো আর রাজস্ব খাতে জমা হয় না। কিন্ত আদায়কৃত অতিরিক্ত ভাড়া ৫০ টাকা কে বা কারা হাতিয়ে নিচ্ছে তা গায়েবানা হালে রয়েছে বলে তিনি জানান”।
এ ব্যপারে দোহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোবাস্বের আলমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, “ পদ্মা নদীর চর মৈনট ঘাটে মঙ্গলবার দুপুর থেকে যাত্রী প্রতি ষ্পীডবোট ভাড়া ২শ’ টাকা করে নেওয়া হয়েছে তা তিনি অবগত ছিলেন না, তাই অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান”।