• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং
রাজশাহীতে প্রায় প্রতিটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, ক্রয় ক্ষমতা নাগালের বাইরে সাধারণের

মোঃ আলাউদ্দিন মন্ডল, রাজশাহী :রাজশাহী মহানগর সহ বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলোতে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য।  সরকারী বেসরকারী অফিস ছুটি ঘোষণা এবং রাজশাহী জেলা অঘোষিত ও ঘোষিত লকডাউন ঘোষণার পর হঠাৎ আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং বেশি দামে জিনিসপত্র ক্রয় করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষজন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিশাল জনগোষ্ঠী।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের ব্যাপক মনিটরিং চলমান,  থাকলেও প্রতিদিন বেড়েই চলেছে বিভিন্ন জিনিস-পত্রের দাম। দ্রব্যমূল্যের এমন উর্ধ্বগতি প্রভাব ফেলছে দিনমজুর এবং স্বল্প আয়ের মানুষের দৈনন্দিন জীবন-যাত্রায়। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে আরো তৎপর হতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে,যেমন অনু: প্রতি আদা ১১০ টাকার স্থলে ২৫০ টাকা, গুঁড়ো দুধ ৫৭০ টাকার স্থলে ৬৬০ টাকা, দেশিয় রসুন ৮৫ টাকার স্থলে ১৩০ টাকা, চাল ৪০ টাকার স্থলে ৪৬ টাকা, মসুরী ডাল ৮০ টাকার স্থলে ৯৫ টাকা, কাঁচা ছোলা ৫০ টাকার স্থলে ৭৫ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকার স্থলে ৬৫ টাকা এবং ১৮ টাকার স্থলে আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকায়। শুধু শহরই নয়, অন্যান্য উপজেলার বাজারগুলোতেও দেখা যায় একইরকম চিত্র।

রাজশাহী মহানগরীর একজন রিক্সা চালক জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমন শুরুর পূর্বে তিনি প্রতিদিন কমপক্ষে ৭০০ টাকা আয় করতেন। কিন্তু করোনা ভাইরাস আসার পর লক ডাউন ঘোষণার পর তার আয় নেমে এসেছে তাতে মালিকের জমার টাকা উঠে না। তার উপর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহী মহানগরের  এক ব্যবসায়ী জানান, এলাকা লকডাউন ঘোষণার পর কমে গেছে পন্য আমদানী। এছাড়া যানবাহন কম থাকায় মালামাল পরিবহনের খরচও বেড়েছে। যে কারণে তারা বেশি দামে জিনিসপত্রের ক্রয় খরচ বেড়ে যাওয়ায় তারাও বেশী দামে জিনিসপত্র বিক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন।

সবচেয়ে বড় কথা প্রায় প্রতিটি শ্রেণী পেশার মানুষের আয় রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিন দিন কমছে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা।সামান্য কিছু লোক বাদে কম বেশী সবাই পড়েছেন চরম আর্থিক সংকটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ এর কথা বলতে বলতে মুখ দিয়ে ফেনা তুলে দেন!অথচ ত্রাণ বিতরণে মেনে চলছেন সেই পুরনো এনালগ পদ্ধতি।এটাই কি ডিজিটাল বাংলাদেশ এর নমুনা।কারন ত্রাণ  চোরদের দিয়ে ত্রাণ বিতরণ না করে ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে ঘরে বসে প্রতিটি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা যায়।শুধু সদিচ্ছার অভাব।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

অক্টোবর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« সেপ্টেম্বর    
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।