বইমেলা থেকে ঘুরে -নিরঞ্জন মিত্র (নিরু) ও মানিক কুমার দাস :-“আট আনায় জীবনের আলো কেনা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ফরিদপুরে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলা।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ও জ্ঞানের আলো ট্রাস্ট এর আয়োজনে গ্রন্থমেলা উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন আট আনায় জীবনের আলো কেনা স্থায়িত্ব পাবে। বর্তমানে আমরা দুই হাজার বছর পিছনে রয়েছি। কারন আলেকজান্ডার লাইব্রেরী, জুলিয়াস সীজার লাইব্রেরীটিকে পুড়িয়ে দেওয়ায় দুই হাজার বছর পিছিয়ে পড়েছি। প্রায় সকল লেখক, সাহিত্যিক এবং গবেষকেরই এই লাইব্রেরীর সাথে সম্পৃক্ততা ছিল। আমরা সব সময় পশ্চিমাদের দিকে তাকিয়ে থাকি, কিন্তু আমরা পূর্বের কথা ভূলে যাই। পূর্ব থেকেও যে কিছু পাওয়া যাবে, কিছু শেখা যাবে সেই চেষ্টা করতে হবে। সময়কে মূল্যায়ন করতে শিখতে হবে। কেননা প্রতিটি সময় আলাদা আলাদা ব্যাখ্যা দেয়। প্রিন্টেড পাঠ্য বই থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পাঠের অভ্যাস করতে হবে।
শনিবার সকালে শহরের অম্বিকা ময়দানে
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপরাধ ও প্রশাসন) মোঃ জামাল পাশা, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোশার্রফ আলী।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর উত্তম ক্যাপ্টেন শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী আকন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক জেলা কমান্ডার শেখ আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সদস্য সচিব আইভি মাসুদ, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজভী জামান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুপ্রিয়া দত্ত।
একুশে বইমেলায় ২৮টি স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুর প্রেস ক্লাব, তথ্যকেন্দ্র, এনজিওসমূহ, শিশু একাডেমি, লাইব্রেরী সহ স্কুল-কলেজের স্টল রয়েছে।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা মেলার স্টল পরিদর্শন করেন।