মো. মনির হোসেন পিন্টু,চরভদ্রাসন প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে প্রথম বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে সাড়াঁ ফেলে দিয়েছেন তারিক হাসান।
বাংলাদেশে নতুন হলেও ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও চায়নাতে অনেক আগে থেকেই বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ বেশ জনপ্রিয়।
এই পদ্ধতিতে অল্প জায়গাতে উচ্চ ঘনত্বে মাছ চাষ করা যায় এবং এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ তুলনামূলকভাবে অন্য পদ্ধতি অপেক্ষা খরচ সাশ্রয়ী ও কম ব্যয়বহুল।
বাংলাদেশের মতো অধিক জনসংখ্যা ও স্বল্প আয়তনের দেশে এই পদ্ধতিটা ছড়িয়ে পড়া খুবই জরুরী। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে দেশে বেকারত্বের সংখ্যা অনেকাংশেই কমে যাবে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়া ডাঙ্গী (মুসলিম) গ্রামের তরুন উদ্যোক্তা তারিক হাসান উপজেলায় প্রথম এই বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেন। তার এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ দেখে আশেপাশের অন্যান্য যুবকদের মধ্যেও বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে নানা রকম কৌতুহুল ও আগ্রহ বাড়ছে।
সরেজমিনে শনিবার (২০ মার্চ) সকালে তার বাড়িতে ঘুরে দেখা যায়, তারিক হাসান প্রাথমিকভাবে তার বাড়ির পেছনে ১৫ শতাংশ জায়গার মধ্যে ৬ হাজার লিটারের দুটি ট্যাংকিতে ৫৪ হাজার কৈ মাছ ২ লক্ষ শিং জাতীয় মাছের চাষ শুরু করছেন।
তিনি জানান, তার এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে প্রায় ১২ লাখ টাকার মত খরচ হয়েছে।
তিনি আশা করেন এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে সফল হলে ৫ মাস পর সে এই ট্যাংকি থেকে ন্যূনতম তার ১০ হাজার কেজি মাছ উৎপাদিত হবে এবং এবং প্রায় ৬ লক্ষ টাকা মত তিনি লাভ করতে পারবেন।
তিনি এসময় এ প্রতিবেদকের কাছে তার এই মাছ চাষ পদ্ধতিতে জেলা ও উপজেলা মৎস অধিদপ্তরসহ সরকারি- বেসরকারিভাবে আর্থিক সহায়তার দাবি জানান।
এব্যাপারে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর জানান, আমরা উপজেলায় তরুন উদ্যোক্তা তারিক হাসানের বায়োফ্লক মৎস্য খামারটি এর আগে পরিদর্শন করেছি। এছারা তার বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ দেখে আমরা সত্যি খুব আনন্দিত, এটি একটি সফল প্রকল্প বলা চলে। আমরা তার বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে প্রতিনিয়ত পরিদশর্ন করার পাশাপাশি আমরা তাকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা, পরামর্শ ও সার্বিক সহায়তা প্রদান করবো।
তাছাড়া অনেক বেকার এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানান।