মোঃ রমজান সিকদার, ভাঙ্গা(ফরিদপুর)সংবাদদাতা-২১/০৪/২০২০
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েকঘন্টা ব্যাপি চলা সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহতদের ভাঙ্গা, সদরপুর ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্হলে পৌছে গ্রামবাসির উপর লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এলাকার পরিস্হিতি থমথমে বিরাজ করায় মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, মানিকদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহেব আলীকে হত্যার প্রধান আসামী আসলাম ফকির ও তার সমমানা ওসমান মাতুব্বর এবং জাহাঙ্গির সেকের সাথে একই এলাকার শাজাহান মাতুব্বরের গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মঙ্গলবার সকালে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এক পর্যায় আসলাম ফকিরের লোকজন শাজাহান মাতুব্বরের লোকজনের বেশ কয়েকটি বাড়ীঘর লুটপাট করে দামি জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এসময় তাদেরকে বাঁধা দিলে আসলাম ফকিরের লোকজন শাজাহান মাতুব্বরের সমর্থক সহিদ শেককে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করে। তাকে স্হানীয় জনতা উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করলে সেখানে সে মারা যায়। নিহত সহিদ সেক উক্ত গ্রামের জয়নাল সেকের পুত্র।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুর রহমান বলেন, গ্রামের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্হলে পৌছে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রনে আনি এবং উক্ত এলাকা থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করি। সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। আমরা তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরনের ব্যবস্হা নিচ্ছি।
মানিকদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তারেক সাঈদ বলেন, উক্ত ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহেব আলীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যাকারিরাই এলাকাটিকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। সাহেব চেয়ারম্যানকে হত্যার প্রধান আসামী আসলাম ফকিরের ফাঁসির আদেশ হলে রাজনীতির বিবেচনায় তাকে রাষ্ট্রপতি সাধারন ক্ষমা প্রদান করেন। জেল থেকে বের হয়ে এসে আসলাম ফকির গ্রামে অপরাজনীতি শুরু করে। আজকের ঘটনায় আসলাম ফকির নিজে নেতৃত্ব দিয়ে গ্রামে একজন সাধারন মানুষকে খুন করিয়েছে। আমরা গ্রামবাসি এসব খুনের সঠিক বিচার সহ এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।