চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০ জুনিয়র কনসালটেন্ট পদের নয়টিই শূন্য। এর ফলে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা আবাসিক চিকিৎসকসহ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনুমোদিত চিকিৎকের পদ ২৫টি হলেও কর্মরত আছেন ১২ জন। এনেসথেশিয়া ও গাইনি বিভাগে ডাক্তার না থাকায় জরুরী প্রসূতিসেবা বন্ধ রয়েছে।
এদিকে টেকনেশিয়ান থাকলেও এক্সরে মেশিন নষ্ট থাকায় রোগিদের বাইরে এক্সরে করতে বেশী টাকা গুনতে হচ্ছে। ইসিজি মেশিন ভালো থাকলেও কার্ডিওগ্রাফার বা অপারেটার না থাকায় রোগিরা ইসিজি সুবিধা থেকে বি ত হচ্ছে। একই অবস্থা আলট্রাসনোগ্রাফিতে। মেশিন থাকলেও সনোলজিষ্ট বা অপারেটর না থাকায় এই সুবিধাও বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। আর এই অবস্থায় চারঘাট সদরে গড়ে ওঠা বেসরকারি কিèনিকগুলো চুটিয়ে ব্যবসা করছে।
হাসপাতালে রোগীদের ঔষধ সরবরাহ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) বরাদ্দকৃত ৩৮ লক্ষ টাকার ঔষুধ সরবরাহ করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারা ঔষধ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। অন্যান্য প্রাপ্ত ঔষধ রোগীদের মাঝে সরবরাহ করা হয়। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা জানান ঠিক মতো তারা সেবা পাচ্ছেন না। সবমিলে জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে এলাকাবাসী মত প্রকাশ করেন।