অটোবাইক চালক ফারুক হত্যায় ২ জন গ্রেপ্তার
নতুন অটোবাইক ছিনতাই করার জন্যই রুগী সেজে চার ঘাতক গলায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে পোচ দিয়ে হত্যা করে অটোবাইক চালক ফারুক তালুকদারকে (৩৬)। এ হত্যার সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ফরিদপুরে এক প্রেসব্রিফিংএ এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যারয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, গত ৬ মার্চ ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ফতেপুর শ্মশান ঘাট এলাকার নিকট অটোবাইক চালক ফারুকের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পরদিন ফারুকের ভাই হান্নান তালুকদার (৪৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্তের সুত্র ধরে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিক রাজবাড়ী সদরের ব্রাকপাড়া এলাকা থেকে আনিছ মল্লিক (২৪) কে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া সুত্র থেকে রাতেই ফরিদপুর সদরের গঙ্গাবর্দী গ্রাম থেকে আনিছের ছোট দুলা ভাই মো. সাইফুদ্দিনকে এর বাড়ি থেকে ফারুকের ছিনতাই হওয়া অটোবাইক উদ্ধার করা হয়। ওই সময় মো. সাইফুদ্দিনকে আটক করা হয়। এছাড়া ওই অটোবাইকে ব্যবহার করা পাঁচটি ব্যাটারি আনিছের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যাটারি গঙ্গাবর্দী থেকে অটোবাইক চালক দেলোয়ার আনিছের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল। এ ঘটনায় দেলোয়ারকেও আটক করা হয়।
আনিছ জানায়, এ হত্যাকান্ডে তারা মোট চারজন অংশ নেন। তারা ৬ মার্চ রাত ৮টার দিকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালকে ইজিবাইক চালক ফারুককে ভাড়া করে রোগী সেজে। পরে তাকে ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপাল ইউনিযনের ফতেপুর এলাকায় নিয়ে হত্যা করে।
পুলিশ আনিছের তথ্য অনুযায়ী গতকাল শনিবার বিকেল ৩টার দিকে রাজবাড়ী সদর এলাকা থেকে এ হত্যাকান্ডে জড়িত শহীদ মিয়া (২২) নামে আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেন। বিকেলে আনিছ ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতের বিচারিক হাকিমওসমান গণির আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবাবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে আদারতের নির্দেশে তাকে (আনিছ) জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এ প্রেস ব্রিফিং এর সময় ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত নিহত ফারুক তালুকদার রাজবাড়ী সদরের পাচুড়িয়া ইউনিযনের গোপ্তমানিক গ্রামের মৃত সিদ্দিক তালুকদারের ছেলে। তিনি বিবাহিত এবং তিন মেয়ের বাবা। ফারুক আগে চা দোকান করতেন। কিন্তু সংসারের আভাব মেটার ধার দেনা ও কিস্তি করে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে তিন মাস আগে লাল রঙের এ ইজি বাইকটি কিনেছিলেন। অটোবাইকের কিস্তির টাকা এখনও শেষ হয়নি।
সংবাদ সুত্রঃ সময়ের সংবাদ