সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি প্রয়োজন।
তে-ভাগা আন্দোলনের কিংবদন্তী নেত্রী রাণী ইলামিত্রের বরেন্দ্র অঞ্চলে বিগত আওয়ামীলীগ সরকার ও বর্তমান সরকারের আমলে রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্রীড়া স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক উন্নয়ন পরিলক্ষিত হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইলামিত্রের বরেন্দ্র ভূমিতে কাচা রাস্তা পাকাকরণ কারা হয়। কিন্তু তার পরবর্তী সময়ে ওই সমস্ত রাস্তার তেমন সংস্কার না হওয়ায় জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটাতে হলে রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কোন বিকল্প নাই। তাই প্রয়োজনী রাস্তা সংস্কার, রাস্তার পাশে পুকুরে প্রটেক্সশন ওয়াল নির্মান, জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন ও সাকো নির্মান জরুরী হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে দেখাগেছে, নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে চন্ডীপুর গ্রামের মধ্যে পাঁকা রাস্তা থেকে উত্তর পাশে প্রায় ১৫০ ফিট ভিতরে ৮টি পরিবার দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছে। সেখানে ৮টি বাড়ির লোকজনের চলাচলের জন্য প্রায় ৩০ফিট পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য একটি কাঁচা রাস্তা আছে। আর সেই রাস্তার পাশে একটি পুকুর রয়েছে। ধীরে ধীরে সেই পুকুর পাড়টি ভেঙ্গে গেছে। যদি দ্রুত এই পুকুর পাড়ে প্রটেক্সশন ওয়াল না নির্মান করা হলে বর্তমানে ওই ৮টি পরিবার বন্দী হয়ে পড়েছে। নিজে পায়ে হেঁটে ছাড়া কোনপ্রকার গরুর গাড়ি, ভ্যান কিংবা বাইসাইকেল নিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। ওই পাড়ার শরিফুল ইসলাম শরিফ, মোঃ জোনাব আলী ও পল্লী চিকিৎসক আনারুল ইসলাম জানান, আমরা একাধিকবার চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিষয়টি জানিয়েছি। এখন পর্যন্ত তারা কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেননা।
এছাড়া কেন্দুয়া পঞ্চানন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন পাকা রাস্তার পাশে পুকুরের প্রায় ১২০ ফিট প্রটেক্সশন ওয়াল জরুরী হয়ে পড়েছে। কেন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদ, বাদশা, রাব্বানী ও এরফান আলী জানান, জরুরী ভিত্তিত্বে এই প্রটেক্সশনওয়াল না নির্মান করলে পাকা রাস্তা ভেঙ্গে স্কুলের শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারীরা ভোগান্তিতে পড়বে।
এছাড়া কেন্দুয়া বাজার যেতে মাঝ পথে পাকা রাস্তায় ভাংঙ্গন ধরেছে। সেখানে বৃষ্টি পানি রোডের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ার কারনে সে রাস্তা অনকেখানি ভেঙ্গে গেছে এবং পাশে ছোট জলাশয় থাকার কারনে সে রাস্তা ভাংঙ্গনের হুমকির মুখে পড়েছে। এলকাবাসীর দাবী সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিত্বে একটি ছোট সাকোর প্রয়োজন।
অন্যদিকে, কৃষ্টপুর থেকে চন্ডীপুর এর মাঝামাঝি পথে একটি সাকো রয়েছে। কিন্তু সাকোর দু’পাশে রাস্তা প্রায় ২/৩ ফিট দেবে যাওয়ার কারনে যাহবাহন উঠানামা করতে চরম অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। সেখানে প্রায় ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। আর একটু বৃষ্টি হলে সেখানেতো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই জরুরী ভিত্তিত্বে সাকোর দু’পাশ সংস্কার প্রয়োজন। এবিষয়ে নেজামপুর ইউপির ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য তাজউদ্দিন ফটিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ দেখায়।
উক্ত ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা জোসনারা জানান এবিষয় গুলো আমার জানা আছে তবে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে ব্যাস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা করবো। নেজামাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক জানান, এ বিষয় কিছু কিছু জানা আছে, তবে এগুলো সামনে একটা বাজেট আসলেই কাজ করে দেব। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা জানান, এবিষয়ে আমার জান নেই, এখন জানলাম এসব কাজগুলো দ্রুত করার ব্যবস্থা নিব। নাচোল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের জানান, কিছু বিষয়ে জানা আছে, তবে একাজগুলো সামনের বাজেটে করার সিদ্ধান্ত নেব।