• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৮ই জুন, ২০২৩ ইং
Mujib Borsho
Mujib Borsho
মিথ্যা অভিযোগে ঘরছাড়া আলালপুর গ্রামের ৬টি পরিবার

জিল্লুর রহমান রাসেল, স্টাফ রিপোর্টারঃ
ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের আলালপুর গ্রামের ৬টি পরিবারকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির তথ্য পাওয়া গেছে। এ মিথ্যা অভিযোগের পর থেকে এ পরিবারগুলোর পুরুষ মানুষ ভয়ে পুলিশের হয়রানি থেকে বাচঁতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে বাড়িগুলো।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয় স্ত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় স্বামী মো. কামরুল খান (২৫) এবং শাশুড়ী রোকেয়া বেগম (৬৫) নামে দুই ব্যক্তিকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এছাড়া উল্লেখিত গৃহবধূর গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও ঘরে ঢুকে ওয়্যারড্রোব ভেঙে ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
সরেজমিন প্রতিবেদনঃ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানান, তাস খেলা নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, গত ০৯-০৪-২০ তারিখ (বৃহস্পতিবার) আনুমানিক সকাল ৮.৩০ টার দিকে বাদির ছোট ভাই কামরুল খান, মাচ্চর ইউনিয়নের জ্ঞানদিয়া এলাকার আতিয়ার শেখ হত্যা মামলার পলাতক ৫ নম্বর আসামি বিজয় প্রামাণিক (বাদীর বাড়িতে আশ্রিত)সহ বেশ কয়েকজন তাস খেলছিল এবং শোরগোল করছিল। এ সময় প্রতিবেশী একই বংশের চাচাতো ভাই বাশার খান তাদের তাস খেলায় বাধা প্রদান করে বলেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সরকার সকলকে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রাখতে বলছে আর তোমরা একহয়ে শোরগোল করতেছো, তোমরা খেলা বন্ধ করো আর যার যার বাড়ি যাও। এ কথা শুনে বাদীর ভাই কামরুল খান, বাশার খানের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং গালিগালাজ করতে থাকে, তখন এজাহারে উল্লেখিত আসামীগণ ও বাদীর মা ঘটনা স্থলে এসে উপস্থিত হয় এবং তর্কাতর্কি শুরু হয় যা হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়, এ সময় ধস্তাধস্তিতে কামরুল নিচে পড়ে যায় আর পাকা মেঝেতে মাথা লেগে ফেটে যায় এবং কিছু মার দেওয়া হয় এতে কামরুলের মা বাধা দিতে গেলে তিনিও কিছু আঘাত পান। কিন্তু কোপ দেওয়ার এবং ডাকাতির যে কথা বলা হয়েছে তা মিথ্যা। তাছাড়া যে আসামীদের কথা বলা হয়েছে তারা এলাকার ভদ্র ও সভ্য মানুষ এরা কখনও কোন গোলমালের ভেতর যায় না বরং অন্যায়ের প্রতিবাদ করে থাকে যার ফলে এই সমস্যা। আর বাদী মোস্তফা একজন লম্পট, তার বিরুদ্ধে একাধিক বার নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। তার পিতা জিবীত থাকা কালিন এ সব কারণে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল। তার পিতার মৃত্যুর পর সে বাড়ি ফিরে এসে জমি জমা বিক্রি করে সেই টাকা নিয়ে লম্ফ ঝম্ফ করে বেড়ায়। তার ছোট ভাই কামরুলও টাকার গরমে কাউকে পরোয়া করেনা। এলাকার প্রভাবশালী কয়েকজনকে টাকা দিয়া হাত করে নিয়েছে যাতে কেও কোন মিমাংসা করতে না আসে। এ বিষয়ে আরও কয়েকজন প্রতিবেশীর সাথে কথা বললে তারাও একই কথা বলেন যে তাস খেলায় বাধা দেওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে এবং যে মামলা হয়েছে তা সবই মিথ্যা। মামলায় উল্লেখিত আসামীরা এলাকার খুবই ভদ্র পরিবারের সন্তান এরা কখনোই কোন ঝামেলায় যায় না আর এদের দ্বারা কারও কোন ক্ষতিও হয় নাই কখনো। আমরা চাই ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক। কোন নির্দোষ লোক যাতে ক্ষতির স্বীকার না হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ এস আই হাফিজুর রহমান জানান, এই অভিযোগ পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে যাই, সেখানে আসামীদেরকে তাদের বাড়িতে না পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন তাস খেলা নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে মারামারির সুত্রপাত। কোন লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরও জানান, এখনো মামলা হয়নি শুধু সাধারণ ডায়েরি ভুক্ত হয়েছে। তদন্ত চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী কার্যক্রম কি হবে বলতে পারবো। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান ফোন করে জানান, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি যাতে মিমাংসা হয় সে ব্যপারে পদক্ষেপ নেব।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

জুন ২০২৩
শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
« মে  
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।