অফিস-আদালত বন্ধ রেখে ঘরে থাকার মেয়াদ এক মাসে শেষ হচ্ছে না। সরকারি ভাষায় এই ‘ছুটি’ আরো সাত দিন বাড়াতে প্রস্তাব গেছে সরকারপ্রধানের কাছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলেই তারা লকডাউনের মেয়াদ ২ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে আদেশ জারি করবেন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় কমিটি ছুটি বাড়ানোর সুপারিশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সেখানে নতুন করে ২৬ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিন ছুটি ঘোষণার কথা বলা হয়েছে। তার সাথে যোগ হবে ১ ও ২ মের সাপ্তাহিক ছুটি। খবর বিডিনিউজের।
সব ঠিক থাকলে আজ বুধবারই ‘ছুটি’ বাড়িয়ে আদেশ হতে পারে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, নতুন করে কোন কোন শর্তে ছুটি ঘোষণা করা হবে তা আদেশে বলা থাকবে। এবারের ছুটিটা একটু অন্যরকম হতে পারে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস আদালত বন্ধ ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। পাশাপাশি সবাইকে যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলে বিশ্বের আরো অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষও ঘরবন্দি দশার মধ্যে পড়ে, যাকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বর্ণনা করা হচ্ছে ‘লকডাউন’ হিসেবে।
এরপর সেই ‘ছুটির’ মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। গত ১০ এপ্রিলের আদেশে সন্ধ্যা ৬টার পর ঘর থেকে বের হওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আসে। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার ১৭ মার্চ থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত হয়ে গেছে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে।