• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৭ই জুন, ২০২৩ ইং
Mujib Borsho
Mujib Borsho
রাজশাহীতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত, স্বস্তি নেই ক্রেতাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ  করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে রাজশাহীর নিত্যপণ্যের বাজারে। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রয়োজনীয় সব দ্রব্যের দাম  উর্দ্ধমুখী এখনও অব্যাহত। রমজানের আগে দাম বেড়ে যাওয়ায় অস্বস্থিতে পড়েছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি কমে যাওয়ায় হু হু করে বাড়ছে পণ্যের দাম।

রমজানের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রোভ প্রকাশ করছেন স্বল্প আয়ের মানুষরা। তারা বলছেন, করোনারভাইরাসের জন্য তারা বাইরে বের হতে পারছে না। অনেকের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু পণ্যের দাম বাড়ছে। এতে সমস্যায় পড়ছেন তারা। আর বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, সব ধরনের পণ্যের আমদানি কমেছে। তাই দাম বাড়ছে। আর বাজারে ক্রেতা কমে যাওয়ায় তাদের আয়-রোজগারও কমে গেছে।নগরীর সাহেববাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজার অস্বিতিশীল। দু’একটি ছাড়া কোন পণ্যেই এক সপ্তাহ আগের দামে পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আদার দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা করে। এক সপ্তাহ আগে আদার দাম ছিলো কেজি প্রতি ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। কিন্তু এখন দাম বেড়ে হয়েছে কেজি প্রতি ২৫০ টাকা। আদার মতো বাড়তি দাম রসুনেরও। রসুনের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২০ টাকা করে। কয়েকদিন আগে রসুন ১৪০ টাকা করে পাওয়া গেলেও এখন কেজি প্রতি ১৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।আদা রসুনের মতো বাড়তি দাম পেঁয়াজেরও। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৮ টাকা করে। পেঁয়াজের দাম এখন কেজি প্রতি ৪৮ টাকা। বাজারে এখন বাড়তি দাম চালেরও। সব ধরনের চাল কেজি প্রতি ৩ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আঠাশ চাল বেড়েছে কেজি প্রতি ৪ টাকা। আগে দাম ছিলো ৪৬ টাকা। এখন দাম বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা। মিনিকেট চাল দুই দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ৩ টাকা। দুই দিন আগে ছিলো ৫৩ টাকা। এখন হয়েছে ৫৬ টাকা।দাম বেড়েছে স্বর্ণা ও চিরাশালেরও। চিকনা স্বর্ণা কেজি প্রতি ৯ টাকা করে বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগেও দাম ছিলো ৩৬ টাকা। তবে এখন ৪২ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। গুটি স্বর্ণা ও জিরাশালের দামও বেড়েছে কেজি প্রতি ১০ টাকা। এখন গুটি স্বর্ণা ৪২ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। জিরাশালের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে হয়েছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি।দাম বেড়েছে বিভিন্ন ডাল এবং মশলার। মোটা মসুর ও চিকন মসুরের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৩০ টাকা। মসুর ডাল এক সপ্তাহ আগে ছিলো ৬০ টাকা। তবে এখন ৩০ টাকা বেড়ে দাম হয়েছে ৯০ টাকা। চিকন মসুর ডাল ১০০ টাকা থেকে লাফিয়ে হয়েছে ১৩০ টাকা। মটর ও মুগ ডালের দামও এখন বাড়তি। মটর ডাল কেজি প্রতি ৫ টাকা করে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা। মুগ ডাল ২০ টাকা বেড়ে দাম হয়েছে ১৪০ টাকা। তবে দাম স্থিতিশীল আছে সয়াবিন তেলের দাম। বেশ কিছু দিন ধরেই ৯০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে সয়াবিন তেল।দাম বেড়েছে চিড়ারও। বস্তাপ্রতি চিড়ার দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা করে। এক সপ্তাহ আগেও বস্তাপ্রতি দাম ছিলো ১ হাজার টাকা। তবে এখন দাম বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩০০ টাকা। জিরার দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০০ টাকা করে। তিন দিন আগেও দাম ছিলো ৩৫০ টাকা। এখন দাম বেড়ে হয়েছে ৪৫০ টাকা কেজি।

তবে স্থিতিশীল আছে ডিমের দাম। কয়েকদিন ধরেই ডিম ২০ থেকে ২৬ টাকা হালিতে পাওয়া যাচ্ছে। সবজির দামও রয়েছে স্বাভাবিক। সবজি বিক্রেতাদের দেয়া তথ্যমতে, কিছু কিছু সবজির দাম কমেছে। তবে বেশিরভাগ সবজির দাম আছে আগের মতো। স্বাভাবিক রয়েছে মাছ এবং মাংসের দামও।

নগরীর সাহেববাজারে বাজার করতে এসেছিলেন একজন রিকসা চালক। তিনি বলেন, সব দিক থেকেই খুব কষ্টে জীবনযাপন করছি। এখন ঠিকমতো রিক্সা চালাতে পারছি না। একদিনের রিক্সা ভাড়াতে মহাজনের টাকা উঠছে না। আর বাজার করতে এসে ৫০০ টাকাতেও ব্যাগ ভরছে না।

তিনি আরো বলেন, সবজি ছাড়া বাজারে সব পণ্যের দামই বেশি। আদা ২৫০ টাকা কেজি । কিন্তু আমার ভাড়াই ২৫০ টাকা হয় না। তাহলে অন্য সব জিনিস কিভাবে কিনবো! আর কি কিনবো আর কোনটা কিনবো না সেটাই বুঝতে পারছি না।
সাহেববাজারের ব্যাবসায়ী আব্বাস আলী বলেন, করোনার জন্য আমাদের ব্যবসার খুব ক্ষতি হচ্ছে। আমরা কোন পণ্যে ঠিকমতো কিনতে পারছি না। তেমনি বিক্রিও করতে পারছি না। সব পণ্যের আমদানি কম। তাই একটু দাম বেশি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এই রকম হয়তো চলতেই থাকবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

জুন ২০২৩
শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
« মে  
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।