সাভারে আশুলিয়া থানা সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জুলুম ও নির্যাতন বন্ধে মানববন্ধন করেছেন ফল ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেয় প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ীরা জানায়, সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের ব্যানারে বিভিন্ন সময় আড়তের ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করত সুরুজ ব্যাপারী। চাঁদা না দিলে মদপ্য অবস্থায় আড়ত ব্যবসায়ীদের মারধরও করত সে। এঘটনায় আশুলিয়া থানায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা সাধারণ ডায়েরি করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আড়তের বিশ্বনাথ নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করে নিয়ে যায়।
তাই অবিলম্বে আটক ব্যবসায়ীদের ছেড়ে দিয়ে অভিযুক্ত পানের আড়ত ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকলীগ নেতা সুরুজ বেপারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তারা।
অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের আশুলিয়া থানার সভাপতি সুরুজ বেপারী নিজেও বাইপাইলের আজিজ সুপার মার্কেটে কাঁচামালের আড়ত ব্যবসায়ী। কিন্তু তারা দেড় শতাধিক আড়ত ব্যবসায়ী থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে বেপড়োয়া আচরণ করেন সুরুজ। গত কয়েকদিন পূর্বে রাতে মদ্যপ অবস্থায় মাতাল হয়ে সুরুজ বেপারী মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ীকে মারধর করেন। এঘটনায় পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি সুরুজ বেপারী বুধবার দুপুরে আড়তে হঠাৎ পুলিশ নিয়ে আসে। পরে সুরুজ বেপারী আড়ত ব্যবসায়ী বিশ নাথকে দেখিয়ে দিলে তাদের থানায় অকারণে ধরে নিয়ে যায় এসআই আব্দুস সালাম।
এব্যাপারে সাভার আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম জানান, আড়ত ব্যবসায়ীরা তার উপর হামলা করায় তিনি বিশ্বনাথ নামে একজনকে আটক গ্রেপ্তার করেছেন। তবে ঘটনার বিস্তারিত জানাননি তিনি।
এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইনছুর আলী জানান, সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ কোন অপকর্ম করলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশুলিয়া থানা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি সুরুজ বেপারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনেছেন তিনি। এছাড়া তাদের সংগঠনের আশুলিয়া থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজা মোল্লা ধর্ষণ মামলায় কারাবাস করছেন। তাই দুই-এক দিনের মধ্যে উক্ত কমিটি স্থগিত করে নোটিশ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।