মোঃ আলাউদ্দিন মন্ডল রাজশাহী: রাজশাহীতে স্বর্ণালি মুকুল শেষে এখন গাছে গাছে আমের গুটি। এ বছর মৌসুমের প্রথম থেকেই আবহাওয়া ভালো। নেই তেমন ঘন কুয়াশা, তাপপ্রবাহ, শিলাবৃষ্টি। প্রকৃতি অনুকূল হওয়ায় এবার আমের ফলন ভালো হবে বলে জানাচ্ছেন চাষী ও বিশেষজ্ঞরা
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, এ বছর মোট ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে আমের মোট উৎপাদন মাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ ১৪ হাজার ৪৮৩ মেট্রিকটন। তারা জানাচ্ছে এবার রাজশাহী অঞ্চলের আম গাছে যে মুকুল এসেছে তার ১ শতাংশ গুটি থাকলে বাম্পার ফলন হবে।
রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, এরই মধ্যে কুয়াশা, ঝড়-ঝঞ্ঝা আর শিলাবৃষ্টির কোন ধকল এখন পর্যন্ত নেই। এখন দানা বেঁধেছে আমের গুটি। স্বার্ণালি মুকুল ঝরিয়ে শাখা-প্রশাখায় দোল খেতে শুরু করেছে সেই গুটি। গুটিবাঁধা সেই সবুজ দানাতেই এখন স্বপ্ন দেখছেন রাজশাহীর আমচাষিরা।
এই মৌসুমের এই বিশেষ সময়ে গাছে যতœ আরো বেড়ে যাচ্ছে। আমগাছে কীটনাশক স্প্রে, গোড়ায় পানি দেওয়াসহ দেখভালের কাজ এখন চলছে পুরোদমে।অন্য বছরের তুলনায় এবার রাজশাহীর প্রায় গাছেই পর্যাপ্ত মুকুল এসেছে। এগুলোর বেশিরভাগেই গুটি বেঁধেছে আম। আর আগে থেকেই ছত্রানাশক কীটনাশক স্প্রে করেছে চাষীরা। আর হপার পোকার আক্রমণ দূর করতেও স্প্রে করা হচ্ছে।রাজশাহীর পুঠিয়া এলাকার আম চাষী মুক্তার আলী জানান, এবার সকল গাছেই ভালো মুকুল এসেছে। প্রথম অবস্থায় দুইবার কীটনাষক দিয়েছি গাছে।
এখন মুকুল শেষে ছোট ছোট গুটি এসেছে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। এবার ভালো আবহাওয়া আছে অনেক গুটি গাছে দেখা যাচ্ছে। হাসানুল নামের আরেক চাষী জানান, প্রায় গাছেই অনেক মুকুল এসেছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেছি। গুটি গুলো নতুন ভাবে বের হচ্ছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় ভালো ফলন হবে আশা করছি।
রাজশাহী ফল গবেষনা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুল আলীম জানান, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হবে আশা করছি। এখনো কোন প্রাকৃতিক সমস্যা দেখা যায়নি। চাষীরা প্রথম অবস্থায় কীটনাষক প্রয়োগ করেছে এখন গুটির জন্য আরেকবার প্রয়োগ করতে হবে। প্রতিটি গাছের মুকুলে একটি করে গুটি থাকলেই বাম্পার ফলন হবে বলে জানান তিনি।