কবির হোসেন, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের পানাইল ও সাতবাড়িয়ার দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। উপজেলার সাতবাড়িয়া বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ হামলায় বেশ কয়েকটি বাড়ি, দোকান ভাংচুর সহ উভয় গ্রুপে ৮ জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন সাতবাড়িয়ার গ্রামের আলম শেখ (৩৫), রাজু আহম্মেদ (২৬), মমিনুর মোল্লা (৩৭) আনোয়ার মোল্লা (৩৯) , সেকেন্দার ষেখ (৪৮), নাজিম মোল্যা (৪২) ও পানাইল গ্রামের বরকত শেখ( ২৭)। তাদের আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পানাইলের শাকিবের নেতৃত্বে কতিপয় কিছু যুবক পার্শ্ববতী উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া গ্রামে টলি গাড়ী চালক হোচেন মোল্যা বাড়ীর সামনে আড্ডা দেয়, হোসেনকে আড্ডা দিতে নিষেধ করে । এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাকিব হুমকি দেয় তোকে আমি দেখে ছাড়ব । এ বিষয়ে নিয়ে গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিকালে মাটির ট্রলির চালক হোসেন মাটিভর্তি নিয়ে সাতবাড়িয়া গ্রামে গেলে শাকিব টের পেয়ে ৩০/৩৫ জন লোক নিয়ে হোচেনকে মারার জন্য ধাওয়া দেয়। হোচেন ভয়ে সাতবাড়িয়া গ্রামের গফ্ফার শেখের ঘরে আশ্রয় নেয়। পরবর্তী গ্রামবাসী বাঁধা হয়ে দাঁড়ালে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
পরের দিন ২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় পানাইল গ্রামের হারুন শেখের ছেলে বদিয়ার শেখের নেতৃত্বে ১শতাধিক লোকজন নিয়ে সাতবাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি, দোকান ভাংচুর সহ উভয় গ্রুপে ৮ জন আহত হয়েছে।
হোছেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে বদিয়ারের সাথে যোগযোগ করা সম্ভব হয়নি।
টগরবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমাম হাচান শিপন বলেন,সংঘর্ষ কথা জেনে তাৎক্ষনিক পুলিশকে খবর দিয়েছি।
ওসি রেজাউল করিম বলেন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম,এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পায়নি । অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।