ঝুঁকিতেে জেলা কারাগার
ফরিদপুরে হোমকোয়ারেন্টাইনে আছেন ১০৪৮ জন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জনের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, সোমবার পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১ হাজার ৪৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম হওয়ায় ২১৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত করা হয়েছে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, এ পর্যন্ত ফরিদপুরে পৃথিবীর ৪৪টি দেশ থেকে ফরিদপুরে ৪ হাজার ৪৫৩জন এসেছেন। এর মধ্যে ২ হাজার ১৪০জন ইতোমধ্যে ১৪ দিনের সমসীমা অতিক্রম করায় তাদের হোম হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়নি। ২১৮জন হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ করায় তাদের মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন ২১৮জন। তিনি বলেন, এখন প্রায় পাঁচশতাধিক বিদেশ থেকে আসা নাগরিককে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের সনাক্তকরণের কাজ অব্যাহ রয়েছে।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, ফরিদপুরে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হয়েছে এ জাতীয় কোন রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, তিনদিন আগে এক রোগিকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল তবে তার রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে।
ঝুঁকিতে জেলা কারাগার
ফরিদপুর জেলা কারাগারের হাজতি ও কয়েদিরা প্রবল স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। দেশে করোনা সংক্রমণের পরও তাদের জন্য সতর্কতমূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি।
ফরিদপুর জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মো. আবদুর রহিম জানান, বর্তমানে ফরিদপুর জেলা কারাগারের ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি হাজতি ও কয়েদি রয়েছেন। তিনি বলেন, এ কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৭৫০ জন হলেও বর্তমানে এখানে হাজতি ও কয়েদি মিলিয়ে মোট ১১০৫ জন রয়েছে। দুইজন চিকিৎসক সকাল বিকেলে দুই বেলা বন্দিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, সোমবার পর্যন্ত এখানে কারো মধ্যে কোনো করোনার লক্ষণ দেখা যায় নি। তিনি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছি। তবে সতর্কতার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুপমেন্ট (পিপিই) সরবরাহের আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তবে আশার কথা হলো অন্য সময়ের তুলনায় বর্তমানে কম সংখ্যক হাজতি জেলে আসছেন। পাশাপাশি মহান স্বাধীনত দিবসকে সামনে রেখে প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কয়েদিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।