ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের হাওলি গঙ্গাধরদী গ্রামে সোমবার সকালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। নিহতরা হলো গিয়াস মাতুব্বরের ছেলে শামীম মাতুব্বর(২৫) ও রাকিব মাতুব্বর(২০)। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুর রহমান জানায়, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এসময় পুলিশ সাদ্দাক মাতুব্বর ও সালাম মাতুব্বরকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে আটক করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এব্যাপারে ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহতের চাচা নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের ৫নং ওয়াড আওয়ামীলীগের সভাপতি বারি মাতুব্বর জানায়, রোববার সন্ধ্যায় বাড়ীর পাশে বিলে মাছ ধরতে যায় রাকিব মাতুব্বর সেসময় পাশের বাড়ীর সাদ্দাক মাতুব্বর ও তার ছেলে কামাল, সালাম, আবজাল ও জামাল মিলে রাকিবের জাল ফেলে দেয়। এনিয়ে রাতেই এলাকার মাতুব্বর মোতালেব মীমাংসার দায়িত্ব নেয়। সোমবার সকালে পযন্ত মোতালেব মাতুব্বর মীমাংসা না করায় সাদ্দাক মাতুব্বরের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গিয়াস মাতুব্বরের বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাকিব মাতুব্বর ও তার বড় ভাই শামীম মাতুব্বরকে সাদ্দাক মাতুব্বরের ছেলেরা এলোপাথারী কুপিয়ে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই দুই ভাই মারা যায়।
নিহতের বয়স্ক বাবা গিয়াস মাতুব্বর বলেন, সাধারন মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ওরা আমার তরতাজা দুইটি ছেলেকে আমারই সামনে কুপিয়ে হত্যা করেছে। বর্তমান সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার দাবি আমি যেন আমার দুই ছেলে হত্যার বিচার পাই।