মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: মহামারি করোনায় থমকে গেছে জীবনযাত্রা, চুপ হয়ে গেছে গোটা পৃথিবী। বাংলাদেশ ও তার ব্যাতিক্রম নয়, অচল হয়ে পড়েছে কর্মহীন মানুষ,অস্বচ্ছলতার বেড়াজালে মানুষ যখন প্রায় দিশেহারা ঠিক তখনি নিজের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিয়ে এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছে দিনমজুর সিরাজুল (২৩)। এমননি একটি ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের কাজীর বল্লভদী গ্রামে। সিরাজুল ঐ গ্রামের মৃত হাচেন মাতুব্বরের ছেলে। ব্যাক্তি জীবনে তিনি দিনমুজুরের কাজ করেন, এখনো বিবাহিত জীবনে পা রাখেননি। দিন আনে দিন খায়, এ ভাবেই চলছে তার জীবনযাত্রা। বিশ্বের এই করোনা সংকটময় সময়ে অস্বচ্ছলতার হাঁতছানিতেও বাদপড়েনি তার পরিবার। এই সংকটময় সময়ে মানুষের আহাজারি দেখে সরল-সহজ সিরাজুল আবেগ প্রবন হয়ে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৩ শতাংশ জমি বিক্রি করে তেত্রিশ হাজার টাকার সম্পূর্ণ চাউল কিনে আনেন অসহায়দের মাঝে বিলিয়ে দিতে।
এমন খবর পেয়ে আমরা কয়েকজন সংবাদ কর্মী ছুটে যাই সিরাজুলের নিকট তার এই আবেগ প্রবন কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজুল বলেন, দেখেন আমি গরিব কিন্তু হাত পেতে কারো কাছে কিছু চাইতে পারি না। ঠিক তেমনি সমাজে অনেক মধ্যবৃত্ত পরিবার আছে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে গোপনে তাদের পাঁশে দাড়াবার কেউ নেই, তারা যেমন অনেকে গোপনে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। তাই তাদের পাশে দাঁড়াতে আমি একাজ করেছি। সিরাজুল আরো বলেন, আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যার যা আছে তাই তাই দিয়ে মানুষকে সহোযোগিতা করতে হবে। তার কথা শুনেই আমি এমন সিদ্ধান্ত নেই।
এ বিষয়ে বল্লভদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে- সিরাজুলের এই মহতি উদ্যেগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সমাজে এখনো এ ধরনের ভালো লোক আছে বলেই মানবতা আজো বেঁচে আছে।