অপর ঘটনায় করোনা আক্রান্ত অতিথির কারণে ৫ বাড়ি লকডাউন
এ আর আহমেদ হোসাইন দেবীদ্বার(কুমিল্লা) প্রতিনিধি//দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও বাগুর গ্রামের শাহজালাল মেম্বার(৬০) করোনা ঊপস্বর্গ নিয়ে মৃত্যুর ১দিন পর আইইআরডিসিআর’র নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন ওই ইউপি সদস্যোর বাড়ি লক ডাউন সহ পরিবারের ২সদস্য ও এক গৃহ শিক্ষকের নমুনা সংগ্রহ করে আইইআরডিসিআর-এ প্রেরন করেন।
শুক্রবার আইইআরডিসিআর’র রিপোর্টে ওই ৩জনের মধ্যে ১জনের নমুনা পরীক্ষায় (গৃহ শিক্ষকের) পজেটিভ আসে। আর দু’জনের রিপোর্ট এখনো আসেনি। সংবাদ পেয়ে দেবীদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার শাহীদা আক্তারের নেতৃত্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিজিজ কন্ট্রোল বিভাগের প্রধান ডাঃ অর্জুন সাহা ও দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক(এস,আই) রবিউল ইসলাম সহ একদল কর্মকর্তা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে বাগুর গ্রামের সমস্ত বাড়ি লক ডাউন করে দেন। করোনা পজেটিভ ব্যক্তির পরিবারের ২ সদস্যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসময় বাগুর গ্রামের মুদী দোকানগুলে সকাল ৭টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এবং তরকারী ব্যবসায়িদের ভ্যানে করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। ওই ঘটনায় চান্দিনা উপজেলার ৩বাড়িও লক ডাউন করা হয়। উল্লেখ্য ২০ এপ্রিল বরকামতা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও বাগুর গ্রামের শাহজালাল মেম্বার(৬০) দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে নিজের নমুনা দিয়ে যাওয়ার একদিন পর অর্থাৎ ২১ এপ্রিল তিনি মারা যান। ২২ এপ্রিল ওই নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসলে তার বাড়ি লক ডাউন সহ পরিবারের ২ সন্তান ও এক শিক্ষকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
অপর দিকে ভারত থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে আসা অতিথির কারনে দেবীদ্বার পৌর এলাকার মরিচাকান্দা গ্রামের ঈসমাইল হোসেন জীবনের বাড়িসহ পার্শ্ববর্তি আরও চারটি বাড়ি লক ডাউন ঘোষণা করেছে দেবীদ্বার উপজেলা প্রশাসন। আজ গতকাল বৃহস্পতিবর দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাহিদা আক্তার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহম্মেদ কবীর ওই বাড়িগুলো লকডাউন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, দেবীদ্বার থানার উপপরদির্শক মো. আবদুস সালাম, ওয়ার্ড কমিশনার আবদুল কাদের।
জানা যায়, ঈসমাইল হোসেন জীবনের স্ত্রীর বড় বোন, বোনের স্বামীসহ ৪ জন গত ৭ এপ্রিল আখাউড়া হয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরেন। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে পাঠায়। কোয়ারেন্টাইন শেষে ২১ এপ্রিল ওই হাসপাতালে ৪ জনের করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে তারা প্রথমে নিজ বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার গুঞ্জর গ্রামে আসেন এবং পরের দিন ছোট বোনের বাড়ি দেবীদ্বার পৌর এলাকার মরিচাকান্দা গ্রামে বেড়াতে আসেন। মরিচাকান্দায় একদিন বেড়ানোর পর তারা ঢাকার খিলগাঁয়ে চলে যান।
২৩ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিশেষ শাখা প্রেরিত জরুরী ই-মেইল বার্তায় ওই মহিলার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে মর্মে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন মরিচাকান্দার ঈসমাইল হোসেনের বাড়িসহ আশ পাশের আরও ৪টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, মুরাদনগরে উপজেলা প্রশাসন ওই নারীর গুঞ্জরের নিজের বাড়িও লক ডাউন ঘোষণা করেছেন বলে জানা যায়।
দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহম্মেদ কবীর জানান, জরুরী ই-মেইল বার্তায় ওই মহিলার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে মর্মে অবগত হওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশের সহায়তায় মরিচাকান্দা গ্রামে ওই মহিলার আত্মীয় ঈসমালের বাড়িসহ আশ পাশের ৪টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে।