ফরিদপুর ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে অপরাধ জগতের বাদশা মন্ডল (৫০)। ২১ রাউন্ড দু’নালা বন্দুকের গুলিসহ শনিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর ডিবি পুলিশের ওসি সুনীল কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সংবাদ শুনে বাদশা গ্রুপের ভয়ঙ্কর পেশাদার সন্ত্রাসী জাহিদ ওরফে কিলার জাহিদ ও তীক্ষè বুদ্ধির নজরুলসহ অনেকে গা ঢাকা দিয়েছে।
সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের চরবালুধুম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার আইনগত প্রক্রিয়ায় ৭ (সাত) দিনের রিমান্ড আবেদন চেয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালতে রিমান্ড আবেদনের শুনানী হবার কথা রয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বাদশা মন্ডল থানা আ.লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক পদ গ্রহণ করে এলাকায় স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছিল। মাদক ব্যবসাসহ প্রতি রাতে তার বাড়ীতে বসত রমরমা মাদকের হাট। সে ২৬শে মার্চ ২০০৪ সালে ঢাকার সদরঘাট এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সামসুল হক ও তার পুত্র হত্যার অন্যতম আসামী। সেই সময় ১৫৬ খন্ড করে ঐ ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছিল। ঢাকার পেশাদার অপরাধী কাজল-ফারুক গ্রুপের সদস্য বলেও জানা যায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাদশা মন্ডল ভয়ঙ্কর প্রকৃতির লোক। নানা অভিযোগের কারনে তার অস্ত্রের লাইসেন্স সরকার বাতিল করে দেয়। সে সময় সে অস্ত্র জমা দিলেও অস্ত্রের সাথে ব্যবহৃত গুলি জমা দেয়নি। তার বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ঢাকার কাজল-ফারুক গ্রুপের বিশ্বস্তজন হিসেবে ঢাকার সায়দাবাদে বাদশা মন্ডলের পরিচিতি রয়েছে। ঢাকার অনেকেই তার নাম শুনলে আতকে উঠেন। সাম্প্রতিক সময়ে থানা আ.লীগের পদ গ্রহণের পর সাবেক মন্ত্রীর ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের বিশ্বস্তজন হিসেবে চরাঞ্চলে কর্মকান্ড শুরু করেন। প্রতিদিন বাড়ীর অভ্যন্তরে মাদক ও নাচ, গাছের আসর বসাতোন। এছাড়া সিন্ডবি ঘাট এলাকায় অন্ধকার জগতের বড় ভাইদের সাথে তার বিশেষ সখ্যতা রয়েছে। ঘাট এলাকায় মাঝে মধ্যেই পাগলা পানিতে তিনি সকলকে মুগ্ধ করতেন। জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।