রাজশাহীর বাঘা উপজেলা জুড়ে ইমু’র অশ্লীল ব্যাবসায় মেতে উঠেছে যুবকের দল। অবৈধ টাকার গরমে, দামি গাড়ি আর মাদক সেবনে যুবকেরা উঠেছে চরমে। অল্পবয়সী ছেলেরা অল্প সময়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেছে। ইমু সেক্সের প্রতারক চক্রের কেউ ২০ লক্ষ,কেউ ৫০লক্ষ কেউবা আবার ১কোটি টাকার মালিক হয়েছে।
তাদের এই গরমাগরম চলাচলে অতিষ্ঠ এলাকার জনগন। যুবকরা প্রবাসীদের সাথে অভিনব কায়দায় অনলাইনে ইমু সেক্স ভিডিও কলের প্রতারণা করে আসছে। প্রতারক চক্র প্রথমে সুন্দরী মেয়েদের ছবি দিয়ে ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে । তারপরে ফেসবুক বন্ধু বানিয়ে মেয়ে সেজে প্রেমের অভিনয় করে। পরে বিভিন্ন কৌশলে প্রবাসীদের ইমু ও ফেসবুক আইডি হ্যাক করে অশ্লীল আলাপচারিতা, অশ্লীল এসএমএস ও ভিডিও চ্যাটিং এর মাধ্যমে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে। হ্যাক হওয়া ফেসবুক ও ইমু’র রেশ ধরে সেই প্রবাসীদের পরিবার-পরিজনদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই টাকার অধিকাংশ ব্যায় করে প্রতারকরা তাদের নিজেদের বিলাশিতা, মাদক সেবন সহ অবৈধ মেলামেশায়। গোপন সূত্রে জানাযায়, কম বয়সী ছেলেরাই এই অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। বাঘা উপজেলার গাঁওপাড়া, বানিয়াপাড়া, বাসটার্মিনাল, নারায়নপুর, আমোদপুর,তেপুকুরিয়া, আড়পাড়া, তেঁথুলিয়া, বাউসা,দীঘা,আড়ানী,রুস্তমপুর, অমরপুর, চাঁঁনপুর,খানপুর, সুলতানপুর, পাকুড়ীয়া, পানিকুমড়া সহ বিভিন্ন বাজার ও মোড় এলাকায় চলছে রমরমা ইমু সেক্স ব্যবসা।
অনুসন্ধানে জানা যায়,বাঘা উপজেলার পার্শ্ববর্তী উপজেলা লালপুরের যুবকরাও এই প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত। সেখান থেকে আস্তে আস্তে বাঘা উপজেলার যুবকেরা এই প্রতারক চক্রের সাথে যুক্ত হয়েছে। তারা নির্দ্বিধায় প্রতিনিয়ত
প্রবাসীদের সাথে এই প্রতারনা করে আসছে। প্রতারকরা এই অবৈধ টাকা নেয় বেনামী বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে। টাকা অবৈধ হওয়ায় বিকাশ এজেন্ট ব্যাবসায়ীরাও সুযোগে ২০ শতাংশ, যার পরিমান (১হাজার টাকায় ৮শত) টাকা কম দিচ্ছেন প্রতারকদের। চিহ্নিত কিছু বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট থেকে প্রতিমাসে প্রতারকরা উত্তোলন করছে কয়েক কোটি টাকা। আর তাই ক্রমশই তারা হয়ে উঠছে বেপরোয়া, বাড়ছে মাদকাসক্ত যুবকের সংখ্যা। অবৈধ আয়ের টাকায় নামি-দামি ব্রান্ডের ৫০-৬০টি মটর বাইক নিয়ে দুপুর হলেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক সেবনের জন্য মরিয়া হয়ে ঘুরতে দেখা যায়। এ নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহল অভিযোগ করে বলেন, সমাজের ঘৃণিত এই ইমু সেক্স ব্যাবসায় লিপ্ত রয়েছেন কতিপয় প্রভাবশালী নেতার ছেলেরাও। গত কিছুদিন আগে থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের অভিজানে ৭ জন আটক করে জেল হাজতে পাঠায়, তাদের তথ্যমতে ২২জনের তালিকা হলেও সকলেই রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাহিরে। অজানা কারনেই প্রশাসন রয়েছে নিরবে।
প্রথমের দিকে পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি না জানলেও এখন সম্পূর্ণ অবগত। বিষয়টি অবগত হওয়ার পরপরই বাঘা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নজরুল ইসলাম কঠোর পদক্ষেপ নেন এবং অভিযান চালান। সেই অভিযানে সুলতানপুর, চাঁদপুর ও বাঘা পৌর এলাকার ৭জন ইমু সেক্সের প্রতারক গ্রেপ্তার হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।