ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলায় প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা দরে।
আজ মঙ্গলবার নগরকান্দা বাজারে সাপ্তাহিক হাট বসে। হাটে কাঁচাবাজারের অন্তত ২৫টি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ বিক্রি করা হচ্ছে ৬০ টাকা।
বর্তমানে কাচামরিচের দাম বেশি হওয়ায় এবং সরবরাহ কম থাকায় আগে যে ক্রেতা এক কেজি মরিচ কিনতেন এখন তিনি কিনছেন ২৫০ গ্রাম, আগে যে কিনতেন ২৫০ গ্রাম এখন তিনি কিনছেন ১০০ গ্রাম।
অনেকেই এখন রান্নায় কাঁচামরিচ কম দিচ্ছেন। নিম্নআয়ের সাধারণ ক্রেতারা বাধ্য হয়ে গুঁড়োমরিচ দিয়ে রান্না করছেন। মরিচের পাশাপাশি দাম বেড়েছে সবজিরও। অতিরিক্ত দামে কাঁচামরিচ ও সবজি কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্নআয়ের সাধারণ ক্রেতাদের।
সারাদেশে টানা বৃষ্টি, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা এবং ভারতীয় মরিচ না আসায় কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। টানা বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
পানিতে ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে গিয়ে চাহিদানুসারে মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় কাঁচামরিচ ও সবজির আবাদ হয়। সেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
বর্তমানে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কৃষকদের থেকে কাঁচামরিচ কিনে খুচরাবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
নগরকান্দা পৌর এলাকার কাঁচাবাজারের ইজারাদার আনোয়ার হোসেন বলেন, মাত্র ১৫ দিন আগেও নগরকান্দা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা দরে। বাজারে কাঁচামরিচের আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।
পানি কমে যাওয়ার পর ক্ষেত থেকে নতুন মরিচ না আসা পর্যন্ত কাঁচামরিচের দাম খুব বেশি কমার সম্ভাবনা নেই। তবে ভারতের কাঁচামরিচ বাজারে পাওয়া গেলে দাম কমে যাবে।