রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ঝিকড়া ইউনিয়নে পাকা রাস্তা ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা। ঝিকড়া বাজার থেকে রনশিবাড়ি পর্যন্ত পাকা রাস্তা বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
শনিবার (২৫ জুলাই) ভোর রাতে রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঝিকরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ ফৌজদার, ইউপি সদস্য মানিক প্রামানিক, আব্দুস ছাত্তার সহ অনেকেই।
চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ ফৌজদার ও ইউপি সদস্য মানিক প্রামানিক জানান, ইউনিয়নের রনশিবাড়ি, জিয়ান্দপাড়া, নারায়নবাড়ি, নামকান ও রায়সেনপাড়ার শত শত বাড়ি সহ আরো বেশ কিছু গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি পাকা রাস্তা ভেঙ্গে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
এদিকে, উজান থেকে মেনে আসা বন্যার পানির কারণে পানির নিচে তলিয়ে গেছে কৃষকের বিভিন্ন ফসল, পুকুর, পানবরজ, বাড়িঘর সহ অনেক কিছু। বন্যার কারণে লোকসানের মুখে কৃষক। শত শত বিঘা জমিতে ধানের আবাদ থাকলেও সেটা আর কোন কাজে লাগবে না। তবে দ্রুতগতিতে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানি প্রবেশ করলেও তা কবে নেমে যাবে এর কোন হিসাব নেই কৃষকের কাছে। দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। লোকজনের মাঝে দেখা দিয়েছে আতংক। বিলে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পশু খাদ্য পড়েছে সংকটের মুখে। রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে লোকজন। দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা না গেলে চরম বিড়ম্বনায় পড়বে লোকজন।
রনশিবাড়ি গ্রামের আমির হোসেন, এমদাদ আলী, ইয়ানুছ ও রেজাউল করিম জানান, রাস্তা ভেঙ্গে তাদের বাড়ি ঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বর্তমানে বাড়ি ঘর ছেড়ে তিন দিন থেকে পরিবার নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।
এছাড়া উপজেলার কাচারী কোয়ালীপাড়া, শ্রীপুর, বড়-বিহানালী, সোনাডাঙ্গা, গনিপুর, গোয়ালকান্দি, বাসুপাড়া, ভবানীগঞ্জ পৌরসভা, তাহেরপুর পৌরসভা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এ সকল এলাকার ঘরবাড়ি, পুকুর, ধান, পান, সবজি সহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ বলেন, আমরা শুনেছি বন্যার কারণে রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। বর্তমানে ওই সকল স্থানে জরুরিভাবে সংস্কার এবং চলাচল উপযোগী করে দেয়া হবে।