সরকারি নির্দেশনায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং করোনার ভয়াবহতায় পাল্টে গেছে ফরিদপুর শহরের চিত্র,জনজীবন থমকে গেছে। ছবি-শহরের ব্যস্ততম জনতা ব্যাংকের মোড়রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য। মাঝে মধ্যে কিছু রিক্সা ও বাইকের দেখা মেলে। বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন শহরবাসী। করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ ঘর ছেড়ে বাইরে খুব বেশি বের হচ্ছেন না। স্কুল-কলেজ, দোকান, হাটবাজার বন্ধ। শহরের ব্যস্ত সড়কে নেই গাড়ির চাপ। এ যেন অঘোষিত হরতাল। এদিকে করোনার জেরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। শহরের অধিকাংশ স্থানে লোক সমাগম কমে গেছে। মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে। খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার হার বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। তাছাড়া বাজারে হ্যান্ড ওয়াশ, স্যানিটাইজার ও এই জাতীয় জিনিসের সাপ্লাই না থাকায় বিপাকে জনগণ। ছবি- শহরের আলীপুর মোড়অপরদিকে করোনা প্রতিরোধে সরকারের সকল নির্দেশ যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য আহবান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
তিনি বলেন, আমরা প্রয়োজনে আরো কঠোর অবস্থানে চলে যাবো। কোনোভাবেই মানুষ ঘর থেকে বের হবে না। সরকার আমাদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য বরাদ্দ দিয়ে রেখেছে।ছবি- শহরের ব্যাস্ততম হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজার
আমরা ত্রাণ কার্যক্রমও পরিচালনা করবো। টিসিবির মাধ্যমে, ত্রাণের মাধ্যমে খাদ্যপণ্য পৌঁছে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে যানবাহন, রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করার জন্য ব্লিচিং পাউডার দিয়ে তৈরি দ্রবণ স্প্রে করা হচ্ছে। বুধবার (২৫ মার্চ) ভোর থেকে শহরের সড়কগুলো প্রায় ফাঁকা। রাস্তায় টহল দিচ্ছেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। চলছে অল্প সংখ্যক রিক্সা ও অটোরিকশা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এদিকে শহরের প্রধান প্রধান ক্লিনিকগুলোতে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।
ডাক্তারেরা তাদের চেম্বারের সামনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পত্র টাঙিয়ে দুংখ প্রকাশ করছেন। এতে করে অন্য কোন রোগ নিয়ে রোগীরা এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। শহরের অন্যতম ক্লিনিক আরোগ্য সদনে গিয়ে দেখা ডাঃ আব্দুল্লাহ সাদ, ডাঃ জেবুন্নেসা পারভীন, ডাঃ মোঃ ইউসুফ আলী, ডাঃ কৃষ্ণ গোপাল সেন এর মত গুরুত্বপূর্ণ ডাক্তারেরা গত ২৩-০৩-২০২০ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য চেম্বার বন্ধ করে দিয়েছেন এবং লিখে রেখেছেন রোগীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।