বুরো চিফ : নাটোরের লালপুরে খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা জোনায়েদ কবীরের বিরুদ্ধে ২০১৯- ২০২০ অর্থ বছরে কৃষকের আমন ধান সংগ্রহে অনিয়ম, দূর্নীতি সহ জাল স্বাক্ষর করে বিল উত্তোলনের অভিযোগ করেছেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মনি । তার নিজ প্যাডে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে লিখিত অভিযোগ পত্র হতে দেখা যায়, লালপুরের গোপালপুর খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির ( ওসি এল,এসডি) লালপুর উপজেলা খাদ্য গুদামে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে আমন ধান ক্রয়ের জন্য উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে লটারির মাধ্যমে কৃষক বাছাই করে তাদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড,কৃষি কার্ড ও প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০০ করে টাকা আদায় করেন , যা সম্পুর্ন অবৈধ্য।২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে কৃষকেদের কাছ থেকে ৯ লক্ষ ১২ হাজার মেট্রিক টন আমন ধান সংগ্রহের নির্দেশ আসে।
যার মধ্যে অর্ধেক অর্থাৎ সাড়ে চার লাখ মেট্রিকটন ধান ভুয়া কার্ড করে গুদাম জাত করেন, এবং এ ধানের ভুয়া বিল ভাউচার করে নিজেই অর্থ উত্তোলন করেন। বিষয়টি সম্পর্কে মার্চ মাসে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বিষয়টি লালপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মনির দৃষ্টি গোচর হলে তিনি নিজেই বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পান বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। তাই খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা জোনায়েদ কবীর এর বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বরাবরে অভিযোগ করেন তিনি। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মনি জানান, লিখিত অভিযোগের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে । এ বিষয়ে খাদ্য কর্মকর্তা জোনায়েদ কবীর তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট, তাকে হেয় করার জন্য এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।