• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
মাধবপুরে কৃষকের ক্ষেতে ধান কাটছেন স্কুল শিক্ষিকা

পিন্টু অধিকারী :মাধবপুর প্রতিনিধি মাঠে পাকা ধান। করোনার মহামারিতে চলছে শ্রমিক সংকট।করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবাই কার্যত অবরুদ্ধ। তবু দুর্দিনের জন্য ধান ঘরে তুলতে হবে। কৃষকরা মাঠে নামতে ভয় পায় কৃষকরা। এমন সময় কৃষকদের সাহস দিতে তাদের পাশে দাড়িয়ে কাস্তে হাতে ধান কাটায় নেমে পড়েছে এক স্কুল শিক্ষিকা। তিনি মাধবপুর পৌরশহরের নোয়াগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন স্কুল শিক্ষিকা ।
গোপালপুর গ্রামের স্হানীয় কৃষকরা জানান, করোনা সংক্রমণের ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হয়না। কিন্তু সোনালী ধান পড়ে রয়েছে। কখন ঝড়, শিলা বৃষ্টিতে ঝড়ে যায় এ নিয়ে কৃষকদের অন্তহীন চিন্তা। এমন সময় শিক্ষক ডলি প্রভা রায় কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন দুরত্ব বজায় রেখে ধান কাটতে।
শুধু তাই নয় প্রতিদিন সকাল ৫ টায় কৃষকদের সাথে থেকে কাস্তে হাতে নিয়ে নিরলস ভাবে ধান কাটছেন। ওই শিক্ষিকার ধান কাটা নিছক প্রচার বা ছবি তোলা নয়। মাটির টানে কৃষক ও দেশের কথা ভেবেই তিনি কৃষক সাথে থেকে ধান কাটছেন। একজন নারী শিক্ষকের এমন উৎসাহ উদ্দীপনা দেখে আশআপাশের কৃষকরা ধান কাটায় নেমে পড়েছেন। আদাঐর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক পাঠান বলেন, শিক্ষক ডলিপ্রভা রায় প্রতিদিন মাঠে ধান কেটে কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছেন। তার মতো করে যদি আরো নারী পুরুষ করোনার সংকটময়ে ধান কেটে কৃষকদের সহযোগীতা করতে এগিয়ে আসে তাহলে বন্যা, ঝড়, শিলা বৃষ্টির আগেই ধান ঘরে তুলা যেতে। এতে দেশের খাদ্য সংকট কমে যাবে।শিক্ষক ডলি প্রভা রায় বলেন,করোনা এখন পৃথিবীর বড় সংকট। কিন্তু এর চেয়ে বড় সংকট দেখা দিতে পারে খাদ্য সংকট। প্রধানমন্ত্রী ও প্রাথমিক শিক্ষা পরিচালক বলেছেন, বোরো ধান কর্তনে আমরা যেন কৃষকের পাশে দাড়াই। তাই আমার নিজের চেতনাবোধ থেকে কৃষকদের সাথে ধান কাটছি।যাতে কুষক বন্ধুরা সহজেই তাদের ধান ঘরে তুলতে পারে। কারণ ঘরে যদি খাদ্য না থাকে তখন অবরুদ্ধ হয়ে করোনার চেয়ে বহু মানুষ না খেয়ে মরবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।