• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কারখানায় ফিরছে শ্রমিকরা, বাসায় উঠতে দিচ্ছেন না মালিকরা
সুমন ভূইয়া সাভারঃ  চাকরি বাঁচাতে পোশাক শ্রমিকরা বাড়ি থেকে ফিরলেও করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ঘরে ঢুকতে দিচ্ছে না কোনো কোনো ভাড়া বাড়ির মালিক।
বাড়িঅলাদের দাবি, করোনাভাইরাস আক্রান্ত নয় এমন সনদ এনে দেখালে তাদের ঘরে ঢুকতে দেওয়া হবে।
রোববার দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়া অঞ্চলসহ (ডিইপিজেড) সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে অনেক পোশাক কারখানা চালু হয়েছে। সকালে শ্রমিকরা নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কারখানা চালুর খবরে শনিবার রাতে দেশের উত্তরবঙ্গ থেকে কয়েক হাজার পোশাক শ্রমিক সাভার শিল্পাঞ্চলে ফিরে আসে। তাদের কেউ কেউ সকালে কাজে যোগদান করেছে। আবার কোনো কোনো কারখানা সোমবার তাদের উৎপাদন শুরু করবে বলে জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসের এই মহামারীর মধ্যে কারখানা খোলার এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শ্রমিক নেতারা।
এর আগেও লকডাউনের প্রথমদিকে একবার পোশাক কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর শ্রমিকরা বিভিন্ন যানে ও হাঁটাসহ নানাভাবে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারসহ নানা স্থানে কারখানায় আসেন। পরদিন তাদের ফিরে যেতে হয় ফের কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্তে।
ডিইপিজেড পুরাতন জোনের ‘লেনি ফ্যাশন’ কারখানার শ্রমিক আব্দুস সালাম কর্তৃপক্ষের ফোন পেয়ে টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর এলাকার বাড়ি থেকে ঝুঁকি নিয়ে ভোরে আশুলিয়ায় এসে পৌঁছান।
আব্দুস সালাম অভিযোগ করেন, বাইপাইলে ভাড়া বাসায় গেলে বাড়ির মালিক বাসায় ঢুকতে দেয়নি। করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট এনে তারপর বাসায় যেতে বলেছে।
“এখন কী করব বুঝতে পারছি না। কারও সহযোগিতাও পাচ্ছি না।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন শ্রমিক বলেছেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ায় তারা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। কিন্তু চাকরি বাচাঁতে তারা কাজে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।
গামের্ন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, “শ্রমিকদের শতভাগ স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে আজকে যে কারখানাগুলো খোলা হয়েছে তা শ্রমিকদের জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে কারখানা চালু করা কোনোভাবেই উচিত হয়নি।”
শ্রমিকনেতা মিন্টু বলেন, এই লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরও রাতের আঁধারে হেঁটে ও বিভিন্ন বিকল্প উপায়ে শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়ে সকালে কারখানায় এসেছে।
অনেককে তাদের বাড়িওয়ালারা করোনার ভয়ে রাতে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়নি উল্লেখ করে বলেন, কয়েকজন শ্রমিককে তিনি নিজে মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখিয়ে মালিকদের বুঝিয়ে ঘরে ঢোকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, জামগড়া এলাকার পলমল গ্রুপের আয়শা ক্লথিং লিমিটেড ২০০ জন শ্রমিক ও কবিরপুরের আসওয়াদ কম্পোজিট মিলস লিমিটেড কারখানার তিন শতাধিক শ্রমিককে প্রবেশ করতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সোমবার বিষয়টি সূরাহ হওয়ার কথা রয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।