গত দুইদিন একটানা প্রবল বর্ষণে যমুনা নদীর জলস্তর বেড়ে কয়েকটি গ্রাম সম্পূর্ণ প্লাবিত। ফলে প্রাণ সংশয়ে গ্রামবাসীরা। সাপে মানুষের একসঙ্গে বসতিতে আতঙ্কে রাত কাটছে গ্রামবাসীর।
দুদিনের প্রবল বর্ষণ! প্লাবিত ভূঞাপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। গাবসারা, অর্জুনাএবং গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বিভিন্ন অংশের
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গত দুই দিন ধরে একটানা বৃষ্টির পাশাপাশি যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়ায় এই তিন ইউনিয়নে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। অধিকাংশ বাড়িতেই ঘরে পানি ঢুকে গিয়েছে। বহু বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় প্রায় কয়েক হাজার মানুষ বন্যার কবলে ঘরছাড়া। তিন ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হওয়ার ঘটনা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
প্রশাসনের তরফ থেকে এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান গ্রামবাসীরা। ওই তিন ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার খবর পেয়ে স্হানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনি স্পিড বোর্ড করে সেখানে ছুটে যায়। এছাড়াও সেখানে পৌঁছান উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার। নদী পার হয়ে প্লাবিত গ্রামে গিয়ে কথা বলেন বাসিন্দাদের সাথে। তাদের সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে গোবিন্দাসী বাজার পূনরায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।বাজারের বেশকিছু দোকানে পানি ঢুকে পড়ায় বাজারের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্দ হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে প্লাবনের ফলে ঘরে পানি ঢুকে যেমন ক্ষতি হয়েছে, তেমনি প্লাবনের ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষির উপরে নির্ভরশীল এই তিন ইউনিয়নের বাসিন্দাদের। পাশাপাশি এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে গবাদিপশুকে নিয়েও। যমুনানদী পাড়ঘেষা প্লাবিত গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই বলেন তাদের দুঃখের সীমা নেই। প্রতিবছর যমুনা নদীতে পানি বাড়ার পাশাপাশি প্লাবিত হয়ে পড়ে তাদের গ্রাম। নদীতে পানি বাড়ায় বন্ধ হয়ে যায় নৌকা চলাচল। ফলে নদী পারাপার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উপজেলার সাথে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এর ফলে গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে বর্ষার এই সময়ে জলমগ্ন অবস্থায় কঠিন সমস্যায় পড়তে হয়। রান্না করে খাওয়ার জায়গাটুকু থাকেনা। অধিকাংশ বাড়িতেই পানি ঢুকে পড়ায় রান্নাবাড়ি ও বন্ধ হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সংকট। এলাকার কোথাও কোথাও পানীয় জলের টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দূষিত হয়ে পড়েছে সেই পানি বলেও স্থানীয়রা জানান।