চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি ঃ-
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের হাজীডাঙ্গী গ্রামে পদ্মা নদীর তীর সংরন বাঁধের প্রায় ৮০০ মিটার এলাকা গত ক’দিন ধরে ধ্বসে থাকলেও সংস্কার হচ্ছে না। উপজেলা সদর থেকে পূর্বদিকে মাত্র এক কি.মি দুরত্বে পদ্মার তীর উন্মুক্ত থাকার ফলে হুমকীর মুখে রয়েছে অত্র এলাকা।
উক্ত বাঁধ ধ্বসের পর ফরিদপুর অঞ্চলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শাহজাহান সিরাজ, নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মেহেদী হাসান ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর কবির ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা সংস্কারের কাজ শুরু হয় নাই। এতে অব্যাহত ভাঙনে পদ্মা নদী এখন উক্ত গ্রামের শত শত বসতভিটে ও প্রধান সড়কে পারে এসে অবস্থান করছে। ফলে জনমনে আতংক বিরাজ করছে এবং গ্রামবাসী শঙ্কার মধ্যে থেকে রাত কাটাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
উক্ত ভাঙন কবলিত পদ্মা পারের বসতি সামসুদ্দিন বাবুর্চি জানায়, “ প্রায় বিশ বছর আগে পদ্মার ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছি। পরে পদ্মা পারে সরকার গৃহহীন প্রকল্পের একটি ঘর দিয়েছে। উক্ত ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতাম। গত পনের দিন আগে বাঁধ ভেঁঙে পদ্মা নদী আামর বসত ঘরের কোলে এসে ঠেকেছে। কোন সময় যেন বসত ঘরটি পদ্মায় বিলীন হয়ে যাবে। এলাকার অনেকের কাছে বলেছি, কিন্তু কেউ বাঁধটি সংস্কারের উদ্যোগ নিলো না”। আর বৃহস্পতিবার ফরিদপুর পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, “ আমরা বাঁধটি সংস্কারের কাজ করার জন্য বসে রয়েছি কিন্ত উর্দ্ধতনদের অনুমতি পেলেই কাজ শুরু করবো”।
স্থানীয়রা জানান,“ ভাঙন কবলিত বাঁধটি দ্রæত সংস্কার না হলে উপজেলা সদরের পদ্মা পারের শত শত বসতভিটে, প্রধান সড়ক, হাজীডাঙ্গী গ্রামের মাদ্রাসা, মডেল মসজিদ, স্কুল ও গোপালপুর পদ্মার ঘাট অচিরেই বিলীন হয়ে যাবে। এতে পুরো উপজেলা পদ্মা নদীর হুমকীর মুখে পড়বে। তাই ভাঙন কবলিত বাঁধটি দ্রæত সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
#
মোঃ মেজবাহ উদ্দিন
চরভদ্রাসন, ফরিদপুর
তাং-২৭/৬/২০২৪ খ্রিঃ