• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং
ফরিদপুরের সালথা’য় পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

ফরিদপুরের সালথায় পাটের আশ ছাড়াতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এবছরে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাট উৎপাদণে কৃষকদের খরচ হয়েছে অনেক বেশি। আগের বছরের চেয়ে ফলনও কম। তাই পাটের মুল্যে কম থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। পাটের মূল্যে বাড়াতে সরকারের কাছে দাবী পাটচাষীদের।

ভাওয়াল ইউনিয়নের পুরুরা গ্রামের পাটচাষী শান্তি সরকার বলেন, এবছরে পাট উৎপাদনে বীজ, সার, ঔষধ, সেচ, পাট নিরানী, পাট কাটা ও পাটের আঁশ ছাড়ানো দিয়ে মোট ব্যয় আছে বিঘাপ্রতি ২০ হাজার থেকে ২১ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি পাটের ফলন হচ্ছে ৯/১০ মন। প্রতিমন পাটের বাজারমুল্য পাচ্ছি ২ হাজার থেকে ২২ শত টাকা। হিসেব করে দেখা যায় এবার পাটে লাভ হচ্ছে না।
গট্টি ইউনিয়নের জয়ঝাপ গ্রামের পাটচাষী হাতেম মোল্যা জানান, গত বছরের চেয়ে এবছর পাটের ফলন কম। বিঘা প্রতি ৭মন থেকে ৯মন পাট উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি মনের দাম পাচ্ছি ২১ শত টাকা থেকে ২২ শত টাকা। পাটের যে খরচ তাতে আমাদের লোকসান হবে। আর যদি পাটের দাম বাড়ে তাহলে আয় ব্যয় সমান সমান হতে পারে।
শিহিপুর গ্রামের আরেক কৃষক ও লিয়াকত মোল্যা জানান, পাট উৎপাদনের ক্ষেত্রে কীটনাশক ও সারের মুল্য কম থাকলেও সেচ, পাটের আগাছা পরিস্কার ও কৃষকখরচ বেশি থাকায় বিঘা প্রতি ২২ হাজার থেকে ২৪ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। যেসব ভাল জমিতে পাট হচ্ছে সেগুলো বিঘাপ্রতি ১০/১২ মন ফলন হতে পারে। যার বাজার মুল্য বর্তমানে ২৩/২৫ হাজার টাকা। প্রতিমন পাটের মূল্যে ৩ হাজার টাকা হলে কৃষকরা কিছুটা লাভবান হতো। তাই কৃষক বাঁচাতে সরকারের কাছে পাটের দাম বাড়ানোর দাবী করছি।

উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল বারী বলেন, এবার ভারি বৃষ্টি ও বন্যার পানির জন্য উপযোগী সময়ের আগেই পাট কাটা শুরু করে চাষীরা। যার কারণে ফলন আগের তুলনায় কম হতে পারে। পাটের মুল্যে আরেকটু বেশি হলে পাটচাষীরা পুষিয়ে নিতে পারতো।

২৭ জুলাই ২০২০

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

অক্টোবর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« সেপ্টেম্বর    
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।