• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৬ই জুন, ২০২৩ ইং
Mujib Borsho
Mujib Borsho
রাজশাহী চিনিকলের শ্রমিক, কর্মচারীরা বকেয়া বেতনের দাবীতে বিক্ষোভ”

মোঃ আলাউদ্দিন মন্ডল, রাজশাহী : 

    বিগত চার মাসের বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজশাহী চিনিকলের শ্রমিক/কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল সোমবার সকালে চিনিকল প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তারা। তবে কর্মচারীরা কাজে যোগ দেননি। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে লকডাউন চলছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়াই রাজশাহী চিনিকল কর্তৃপক্ষ কর্মচারীদের কাজে যোগদানের জন্য ডাকেন। কিন্তু এ ব্যাপারে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সাথে কোন ধরনের আলোচনা করেননি। এতে শ্রমিক কর্মচারীরা কাজে যোগদান করবেন, নাকি করবেন না- তা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এদিকে চার মাসের বেতন বকেয়া রেখে এই করোনা দুর্যোগের মধ্যে কর্তৃপক্ষের আদেশ মরার ওপর খাড়ার ঘা’য়ে রূপ নেই। এতে শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। শেষে কাজে যোগ না দিয়ে বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মচারীরা। এ বিক্ষোভে আখের পাওনা টাকার দাবিতে কিছু চাষিও যোগ দেন। পরে কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে শ্রমিকরা বিক্ষোভ থেকে সরে আসেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আখচাষি থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাসহ এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই হতাশায় ভুগছেন। কারণ সময়মতো আখচাষিদের পাওনা পরিশোধ না করা, কর্মরতদের সময়মতো বেতন-ভাতা না পাওয়া, সময়মতো চিনির বাজার ধরে না রাখা। রাজশাহী চিনিকলে ১৮ কোটি টাকা পাওনা আছে আখচাষিদের। চিনিকল কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মজিবর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুনতাজ আলী জানান, এমনিতেই বেতন-ভাতা না পেয়ে আর্থিক সংকটের কারণে শ্রমিক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আবার কাজে যোগদানের বিষয়ে শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করেনি কর্তৃপক্ষ। এতে উত্তেজনা বিরাজ করে এবং শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কাজে যোগ না করেই চলে যান। রাজশাহী চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সদর দফতর থেকে একটি চিঠি এসেছে। যেখানে সীমিত আকারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অফিসের কাজের বিষয়ে বলা হয়েছে। মিল-কারখানার কিছু যন্ত্রপাতি আছে যেগুলো প্রতিনিয়ত যত্ন নিতে হয়। এমন কর্মচারীরা না আসলে যন্ত্র নষ্ট হবে।তবে তিনি স্বীকার করেন, কাজে যোগদানের কথা বললেও তাদের করোনা সংকট মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জামাদি দেয়া সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, মিলে কর্মরতরা বেতন না পাওয়ায় অনেক কষ্টে দিন যাপন করছেন। বেতন-ভাতার বিষয়ে সদর দফতরে জানানো হয়েছে। চিনি বিক্রি করে বেতনভাতা দিতে বলা হয়েছে। চিনি বিক্রির টাকায় বেতন-ভাতা ও আখের মূল্য পরিশোধ করা হচ্ছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

জুন ২০২৩
শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
« মে  
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।