জামালপুরের বকশীগঞ্জে বন্যার পানি হু হু করে বাড়ছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণের ফলে নদ-নদী গুলো ভরে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে করে নদী তীরবর্তী এলাকা গুলোতে বন্যা শুরু হয়েছে।
বন্যার পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি কয়েকটি গ্রামে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে কমপক্ষে ১০ টি বাড়ি।
অব্যাহতভাবে পানি বাড়ার ফলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নতুন করে আরো ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ নিয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলায় সাধুরপাড়া, মেরুরচর, নিলক্ষিয়া ও বগারচর ইউনিয়নের ২৫ টি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
গত শুক্রবার ও শনিবারে নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কুশলনগর গ্রামে দশানী নদীর ভাঙনে ১০ টি বাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে। আরো ১৫ টি পরিবার নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেতে বাড়ি ঘর সড়িয়ে নিচ্ছেন।
পানি বৃদ্ধির ফলে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বিলেরপাড়, উত্তর আ”চা কান্দি, মদনের চর, কতুবের চর, চর গাজীরপাড়া গ্রাম প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ব্যতিত এই গ্রাম গুলোতে যাওয়া যাচ্ছে না।
এ কারণে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে দ্রুত গতিতে পানি বৃদ্ধির কারণে কৃষকের সবজি, মরিচ খেত, পাট খেত পানিতে ডুবে যাচ্ছে। দিশেহারা কৃষক পাট খেত অপরিপক্ক হওয়ার আগেই কেটে ফেলছেন।
সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু জানান, দ্রুত গতিতে বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে তার ইউনিয়নের ১০ টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। তিনি বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানিয়েছেন।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) আ.স.ম.জামশেদ খোন্দকার জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্হিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বন্যা মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছপ, পরিস্হিতি দেখে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।