মোঃ রমজান সিকদার, ভাঙ্গা(ফরিদপুর)সংবাদদাতা
ফরিদপুর-৪ আসনের জনপ্রিয় এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর জন্য হট লাইন চালু করায় এলাকায় স্বস্তি বিরাজ করছে। করোনা ভাইরাসের কারনে যখন সবকিছু লগ-ডাউন একইসাথে আয় রোজগারও বন্ধ হবার উপক্রম। যে কারনে নিম্ন মধ্যবিত্তরা না পারছে হাত পেতে কিছু নিতে না পারছে সংসারের বোঝা বইতে। এসব নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য এমপি নিক্সন চৌধুরী হট লাইন চালু করেছেন। হট লাইনে ফোন দিলেই এমপির প্রতিনিধিরা সেসব বাড়ীতে পৌছে দিচ্ছে খাদ্য সামগ্রী সহ স্যানেটাইজার সামগ্রী। মঙ্গলবার সকাল হতেই ভাঙ্গা উপজেলা পৌরসদর সহ ১২টি ইউনিয়নে চলছে এসব খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেওয়ার কর্মকান্ড।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিম্ন মধ্যবিত্ত একটি পরিবার জানায়, ভাগ্যগুনে এমন একটি এমপি আমরা পেয়েছি। যিনি মাসব্যাপি অসহায় গরীবদের মাঝে ত্রান বিতরন করছেন এখন মধ্যবিত্তদের কথা চিন্তা করে আমাদের মাঝেও উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছেন। আল্লাহ এমপি নিক্সন চৌধুরীকে আরো বড় করুন একই সাথে জনসেবার মনোভাব তার যেন চীরকাল থাকে।
এব্যাপারে এমপি নিক্সন চৌধুরীর সর্মথক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস,এম হাবিবুর রহমান জানায়, করোনা ভাইরাস শুরুর প্রথম থেকেই আমাদের নেতা ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন থানার সকল জনগনের খোজ খবর নিতেছেন। তিনি শুরুতেই জনগনকে সাহস যুগিয়ে বলেছেন, “ভয় নেই যতক্ষন বেচে থাকব ততক্ষন আপনাদের পাশেই থাকব”। সেই থেকে অদ্যবদি এমপি নিক্সন চৌধুরী দিনরাত পরিশ্রম করে তিন উপজেলার অসহায় হত দরিদ্রদের নিয়মিত ত্রান বিতরন সহ নগত টাকা প্রদান করে আসছেন। এখন আমাদের নেতা নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য একটি হট লাইন চালূ করেছেন সেখানে যারা হাত পেতে নিতে লজ্জা পায় তারা শুধু ফোন করলেই আমাদের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন সামগ্রী তাদের ঘরে পৌছে দিবে।
হট লাইনের প্রতিনিধি ভাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারি প্রফেসর হেদায়েতউল্লাহ জানায়, আজ মঙ্গলবার প্রথম দিনে আমরা ব্যাপক সারা পেয়েছি। আমরা সারাদিনে ৪৭টি পরিবারের কাছে খাদ্য ও স্যানেটাইজার সামগ্রী পৌছে দিয়েছি। এসব সামগ্রী পেয়ে তারা বেশ খুশি।
বিষয়টি নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরীর সাথে স্হানীয় সংবাদকর্মীগন যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাকে ২০১৪ সালে প্রথমবার বিপুল ভোটের ব্যবধানে ফরিদপুর-৪ আসনের মানুষ এমপি বানিয়েছিল। ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বারেও বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমাকে তারা পুনরায় এমপি বানিয়েছে। অনেক বড় আশা নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসনের জনগন আমাকে তাদের নেতা বানিয়েছে। শুরু থেকেই আমি জনগনের পাশে ছিলাম যতদিন বেচে থাকব আমি জনগনের পাশেই থাকব। আমি একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার যৌবনের মুল সময়টা আমি জনগনের জন্য কাজ করতে পেরেছি। এখন করোনা মহামারিতে আমার জনগন কষ্টে থাকবে এটা আমি বেচে থাকতে হতে দিবনা ইনশাল্লাহ। একই সাথে আমি সকল সাংসদদের কাছে আকুল আবেদন জানবো এই করোন ভাইরাসের সময় জনগনকে সচেতন করে তাদের পাশে সুখ দুঃখের সাথী হয়ে থাকতে।