২৯ জুন ২০২০ সোমবার
বাগমারায় উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার শহীদ সেকেন্দোর মেমোরিয়াল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পদত্যাগী সদস্যদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পুকুরের মাছ এবং আম বাগানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক সামসুল হক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে ক্ষমতা নেয়ার কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হলেও এর কোন জবাব না দিয়ে তার বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে দাবি করছেন।
এদিকে পরিচালনা কমিটির পাঁচ জন সদস্য গত ১৫ মার্চ নিজ নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরবর্তী ২৬ এপ্রিলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবরে পদত্যাগ পত্র দাখিল করে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেন।
পদত্যাগ পত্র গুলি ডাকযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বরাবর প্রেরণ করা হয়। অন্যদিকে ৩১ মে উপজেলা নির্বাহী অফিসাকে তাদের পদতাগের বিষয়ে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে অবগত করান তারা। এদিকে উক্ত ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য চলতি মাসের ১৬ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রেরণ করেন।
পদত্যাগের ব্যাপারে ২৫ জুন নোটিশের মাধ্যমে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে সম্মুখ সাক্ষাতকার প্রদান করেন। পদত্যাগকারী ওই সদস্যরা হলেন রেজিয়া বেওয়া, আব্দুর রাজ্জাক প্রাং, শামীমা সুলতানা, আশরাফুল ইসলাম এবং আলেফ আলী। রবিবার পদত্যাগী সদস্য আলেফ আলী জানান, পদত্যাগ করার পরেও অবৈধ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আক্কাস আলী জোর করে আমাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সাক্ষাতের জন্য নিয়ে আসে। আমরা বিধি অনুযায়ী পদত্যাগ করে প্রয়োজন কাগজপত্রাদি যাথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করেছি। এরপর আমাদেও আর কিছু করার নেই। তারপরও অবৈধ ভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার ঠিক রাখতে নানা রকম কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আক্কাস আলী বিদ্যালয়ের চার নম্বর শিক্ষক। উক্ত বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক থাকলেও তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান না করে সরকারী বিধি লংঘন করে অবৈধ উপায়ে নিজেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়েছেন। এছাড়াও কোনরুপ নোটিশ ছাড়াই প্রধান শিক্ষক সামসুল হককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন। এই নিয়ে কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মাঝে বিরোধের সৃষ্টি হয়। তারই প্রেক্ষিতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির থেকে পাঁচ জন সদস্য পদত্যাগ করে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আক্কাস আলী দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বিদ্যালয়ের পুকুরের মাছ, আম বাগানের আম বিক্রয়ের অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের নিদের্শ অনুযায়ী ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।