রাজশাহীর বাগমারায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত মাদক সম্রাট একাধিক মামলার আসামী আব্দুল হাকিমকে (৩৮) হেরোইন, ইয়াবা এবং নগদ টাকা সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত হাকিম উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার দানগাছি গ্রামের মৃত নজবত মেকারের ছেলে। এর আগেও তাকে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য সহ আটক করেছিল পুলিশ।
তার কাছ থেকে মাদকদ্রব্য ছাড়াও মাদক বিক্রির নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে। হাকিম এলাকায় মাদক সম্রাট হিসাবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম নিজ বাড়িতে অবস্থান করে মাদক বিক্রি করছেন বলে পুলিশের কাছে খবর আসে। সকাল নয়টার দিকে বাগমারা থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ির পাশে ওঁতপেতে থাকেন। এ সময় হাকিমের ঘরের জানালা দিয়ে মাদক বিক্রির বিষয় নিশ্চিত হয়ে সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ক্রেতারা পালালেও আব্দুল হাকিমকে ধরতে সক্ষম হয়। এ সময় তল্লাসি চালিয়ে তাঁর কাছ থেকে ২০টি ইয়াবা বড়ি, তিন গ্রাম হেরোইন, একটি মোবাইল ফোন এবং মাদক বিক্রির নগদ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করে পুলিশ।
জব্দকৃত টাকার মধ্যে এক হাজার টাকার নোট ১টি, পাঁচশত টাকার নোট ৪৪টি, দুইশত টাকার নোট ১টি, একশত টাকার নোট ২১৯টি, পঞ্চাশ টাকার নোট ৪০টি, বিশ টাকার নোট ৪৮টি এবং দশ টাকার নোট ৫৪টি।
বাগমারা থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত আব্দুল হাকিমের নামে জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সেই মামলায় জেলও খেটেছেন হাকিম। তিনি আরো জানান, ২০০৫ সালে মাদক মামলার মাধ্যমে জেল খাটা শুরু হকিমের। এরপর ২০১০ সালে নারী অপহরণ মামলায় জেল খাটে হাকিম। পরে ২০১৭ সালে রাজশাহীর শাহমখদুম থানায় মাদক মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ২০১৮ সালে ইয়াবা সহ গ্রেফতার হলে বাগমারা থানায় মামলা হয়। সেই সাথে গোদাগাড়ি, শাহমখদুম ও রাজপাড়া থানায় চুরি সহ মোট ছয়টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে হাকিম কৌশলে মাদক বিক্রি করে আসছিলেন।
এ ব্যাপারে থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, আব্দুল হাকিম একজন চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।