রাজশাহী শহরের প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট বসিয়ে কঠোর অবস্থানে জেলা পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী :
আজ ২৯ শে এপ্রিল (বুধবার) মোহনপুর উপজেলার সর্বত্রই চলছে সচেতনতামুলক মাইকিং, নিয়মিত মনিটরিং করতে দেখা গেছে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যেন রাজশাহীতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য চেকপোস্ট বসানো হয়েছে বলে জানায় রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব।সারা দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে এরই মধ্যে মোহনপুর উপজেলায় ০৩ জনসহ জেলায় এ পর্যন্ত ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ খবরে জনমনে আতঙ্ক বাড়ছে। এ অবস্থায় রাজশাহী জেলা ডিবি ও মোহনপুর থানা পুলিশের সঙ্গীয় ফোর্সসহ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রখর রোদে পিচঢালা সড়কে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব।উপজেলার উল্লেখযোগ্য কেশরহাট, মৌগাছি হাটসহ গ্রামাঞ্চলের সার, কীটনাশক, মুদি, ঔষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও যেখানে সেখানে মানুষের জটলা ভাঙতে কাজ করছেন পুলিশ। এতো কিছুর পরেও জনসাধারণের মধ্যে অনেকে সচেতনতা মানছেন না।
রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে রাখতে পুলিশ সদস্যরা সবসময় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলাবাসীকে নিরাপদ রাখতে এবং রাজশাহী শহরে প্রবেশ রোধে সামাজিক দ্রুরুত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া রাজশাহী শহরে কোনো যানবাহন ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া মোটরসাইকেলে একজনের বেশি না এবং মোটরসাইকেল থামিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে যারা জরুরি কাজে অফিসে যাচ্ছে শুধুমাত্র তাদেরকেই আমরা ছেড়ে দিচ্ছি। যেমন- ব্যাংকার, ডাক্তার, নার্স, পুলিশ ও মিডিয়াকর্মী। এছাড়াও পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত টহলে রয়েছেন।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানওয়ার হোসেন জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এবং জনস্বার্থে প্রচার মাইকিং চলছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সকলকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, নির্দেশনা ভঙ্গকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। সকলকে সতর্ক থাকার অনুরোধও জানান তিনি।