ময়মনসিংহের ফুলপুর থেকে কাজী সালেহ আহাম্মেদ ওসমানী মাসা (৩৬) নামে মানবপাচার চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
গত রোববার সকালে (২৮ জুন) এ তথ্য জানান ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান। বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেজে ভিয়েতনামে পাচারের শিকার চার ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, দালাল চক্রের মাধ্যমে উচ্চ বেতনের চাকরি দেয়ার নামে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চর আসাবট গ্রামের মোকছেদুল ইসলাম (২৮), পারতলা গ্রামের মো. আকরাম হোসাইন (৩৩), বক্তারপুর গ্রামের মোরসালিন মিয়া (২২) ও দ্বারাকপুর গ্রামের মোঃ এরশাদ আলী (২০) ভিয়েতনাম যান। ভিয়েতনামে গিয়ে বুঝতে পারেন যে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ৫ মাস যাবৎ খেয়ে না খেয়ে জীবন-যাপন করছেন তারা। উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভনে চারজনের কাছ থেকে সর্বমোট ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে ভিয়েতনাম পাঠায় মানবপাচার চক্রের সদস্যরা।
এদিকে বর্তমানে তারা ভিয়েতনামে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন এবং মানবতর জীবন যাপন করছে মর্মে বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। উক্ত পোস্টটি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপারকে ব্যবস্থা নিতে বলে।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বিষয়টি প্রাথমিক তদন্ত সাপেক্ষে দালাল চক্রকে শনাক্তের কাজে নামেন। শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
গত শনিবার (২৭ জুন) রাতে দালাল চক্রের অন্যতম সদস্য ফুলপুরের তিতপুর গ্রামের কাজী সালেহ আহাম্মদ ওসমানী মাসাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে সে।
এই সংক্রান্তে ফুলপুর থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।