জিল্লুর রহমান রাসেল, ফরিদপুর প্রতিনিধি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ফরিদপুর সদরে কর্মরত সংবাদকর্মীদের সুরক্ষার বিষয় মাথায় রেখে নিজস্ব উদ্যোগে পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) হস্তান্তর করেছেন, ফরিদপুর সদর আসনের সাংসদ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন এমপি। আরও পড়ুন ঃকরোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যর সাথে কাজ করবে
আজ সোমবার সকাল ১১ টায় ফরিদপুরের বদরপুরের নিজ বাড়ী আফসানা মঞ্জিলে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের হাতে ২০ টি পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার হস্তান্তর করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন সংবাদকর্মীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে সংবাদের জন্য ছুটে চলছেন তাদের এই নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সদস্যদের জন্য পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হলো।
তিনি বলেন, সংবাদকর্মীরা সব সময় তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে চলছেন নিরপেক্ষতা, সততা নিষ্ঠার সহিত। এ সময় তিনি সংবাদকর্মীদের আরো বেশি সততা ও নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করেন।
এসময় করোনা পরিস্থিতিতে প্রান্তিক জনগণের কথা বিবেচনায় ফরিদপুরের ৩০ হাজার পরিবারের মাঝে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণের ঘোষণা দেন, যা আগামী বুধবার ১-০৪-২০ হতে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দেয়া শুরু হবে। এছাড়া আজ একই সাথে এনটিভি পরিবারের জন্য এমপির ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে ফরিদপুরে কর্মরত সাংবাদিক সঞ্জীব দাসের হাতে ৫০ টি পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার তুলে দেন।
এমপি মোশাররফ হোসেন ৫০০ পিপিই দিলেন চিকিৎসকদের মাঝে
তিনি গত শুক্রবার ২৭ মার্চ ফরিদপুরের ৫০০ শত চিকিৎসকের জন্য পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) হস্তান্তর করেন। সামনের দিনে এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
তিনি ফরিদপুরের সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে সকলকেই বাস্তব চিত্র জানা ও সর্বশেষ তথ্য সম্মন্ধে অবহিত থাকা দরকার। সাংবাদিকগণ এই তথ্য সরবরাহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তাদের সুরক্ষার বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সারাবিশ্বের নেতৃবৃন্দ উদ্বিগ্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই খুবই সচেষ্ট রয়েছেন। এই ভাইরাসটি আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বেই নতুন। এর কোন প্রতিষেধক এখনও তৈরি হয়নি। এখন সতর্কতা ও সচেতনতাই আমাদের প্রধান প্রতিষেধক।
কেউ যেনো খাদ্যের অভাবে মারা না যায় সেদিকে সকলকেই খেয়াল রাখা দরকার। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এ ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন সাতটি বিভাগের সাথে ফরিদপুরেও যাতে করোনা ভাইরাসের টেষ্ট করা যায় সেই কিট খুব দ্রুত সময়ে এনে ফরিদপুরেও টেষ্ট শুরু করা হবে।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম, জেলা যুবলীগের আহবায়ক এ এইচ এম ফুয়াদসহ ফরিদপুর প্রেসক্লাবের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা।