মোঃ নুর ইসলাম বোয়ালমারী, ফরিদপুর ঃ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্হলে উপস্হিত থাকার জন্য মন্ত্রিপরিষদ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাব্বির আহমেদ ছাড়া আর কেউ কর্মস্হলে উপস্হিত নেই বলে জানা গেছে। অন্য সব অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে তালা লাগিয়ে চলে গেছেন বাড়িতে।
জানা গেছে, নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ এ উপজেলায় রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সভা-সমাবেশ, সাপ্তাহিক হাট, গণজমায়েত, কোচিং সেন্টার, ক্লাব, বিনোদন পার্ক, কমিউনিটি সেন্টার, রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করে একাধিকবার মাইকিং করেন।
জনগণের এই দুর্যোগময় মুহূর্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) ছাড়া আর কাউকে অফিস ও এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। ইউএনও কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অসহায় ও ক্ষুধার্তদের পাশে ছুটে চলেছেন সরকারি বরাদ্দকৃত খাদ্য শস্য নিয়ে।
উপজেলার বিশেষ কয়েকটি এলাকা ছাড়া করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারণা ও প্রশাসনের তদারকি না থাকায় গ্রামের মানুষ সকাল-বিকেল গ্রামের চা-পানের দোকানে জমায়েত হয়ে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। এতে গ্রামের মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা জরুরী প্রয়োজনে বোয়ালমারী জনগণের পাশে থাকার পরিবর্তে নিজের ঘরকেই তারা বেছে নিয়েছেন হোম কোয়ারেন্টিনে।
সোমবার (৩০.০৩.২০) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি সরকারি অফিসের সামনে তালা ঝুলছে। উপজেলা সতেরটি দপ্তরের মধ্যে নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাব্বির আহমেদ ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রণব পান্ডে ছাড়া কেউ নেই। অথচ জনগণের এই সঙ্কটময় মুহূর্তে সকল অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপজেলা প্রশাসনকে সহায়তার জন্য নির্দেশনা ছিল।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ জানান, সরকারি নির্দেশনায় কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্টেশনে থাকার কথা থাকলেও কয়েকজন ছাড়া বাকিরা অনুপস্হিত রয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন।