সৈয়দ তারেক মোঃ আব্দুল্লাহ
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর তালিকায় নাম থাকলেও চাল পান না হতদরিদ্র হোসনেয়ারা বেগম। হোসনেয়ারা বেগম উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ভাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ন মোল্যার স্ত্রী। তার স্বামী একজন ভ্যান চালক। তার এক ছেলে এক মেয়ে। বুধবার (২৯-০৪-২০) দুপুরে হোসনেয়ারা বেগমের স্বামী হুমায়ন মোল্যা মোবাইল ফোনে জানান, আমি কয়েক বছর আগে ছবি এবং আইডি কার্ড মহিলা মেম্বার নাজমার কাছে দিয়েছিলাম। পরে তার কাছে খোজ খবর নিলে সে বলে তোমার নামে কোন কার্ড হয়নি। গত মঙ্গলবার আমাদের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বর রাশেদুল ইসলাম বলেন, হোসনেয়ারা বেগমের নামে কার্ড আছে এবং চাল উঠানো হয়। আমাদের কাছে এমন কথা বললে আমরা তাকে জানাই আমরা কোন চাল উঠাই না। আর আমাদের কার্ড আছে কিনা আমরা তো জানি না।
২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর থেকে সরকার সারাদেশে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী ১০ টাকা দরে কেজি চাল হতদরিদ্রদের মাঝে দেওয়া শুরু হয়। সেই থেকে উপজেলার শেখর ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর তালিকায় ৬২১ নম্বর নাম রয়েছে হোসনেয়ারা বেগমের। কিন্তু তালিকায় নাম থাকলেও চাল দেওয়া হয় না তাকে I খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাউলের ডিলার সৈয়দ হাবিল আলী বলেন, আমার কাছে কার্ড আসে আমি চাল দিয়ে দেই। কে নিয়ে আসে কার্ড তা দেখি না। অনেক সময় দেখাও হয় না।
শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল মোল্লা বলেন, হোসনেয়ারা বেগমের নামে ১০ টাকা কেজি দরের চালের একটি কার্ড আছে। কে খাচ্ছে তালাশ করে পাচ্ছি না। ডিলারও বলতে পারছে না। আমি ওই ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ও ইউপি ম্বেম্বারের সাথে কথা বলেছি। তিনি জানে না। ইউএনও স্যার আমাকে খোজ খবর নিয়ে জানাতে বলেছেন যে হোসনেয়ারা বেগমের নামের কার্ডের চাল কে উঠায়।
উল্লেখ্য এর আগে ১৫ এপ্রিল একই গ্রামের ওলিয়ার রহমানের নামের কার্ডের চাল উঠিয়ে নিত এক মেম্বার। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাব্বির আহমেদ কার্ডধারী ওলিয়ার রহমানকে কার্ডটি ফেরত দেন।