নিরঞ্জন মিত্র (নিরু) ( ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) কর্তৃক বাস্তবায়নে উদ্ভাবিত বারি পিঁয়াজ- ৪ জাতের উৎপাদন কার্যক্রমের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফরিদপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের আয়োজনে, (৩০ মার্চ) বুধবার বিকালে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ফুরসা গ্রামের পিঁয়াজের মাঠে এ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
ফরিদপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগ (বারি) এর অঞ্চল প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে, মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. হজরত আলী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলাউদ্দিন খান, সিমিট বাংলাদেশ, ফরিদপুরের হাব কো-অর্ডিনেটর কৃষিবিদ হিরা লাল নাথ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক সহকারী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও প্রিন্ট ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীবৃন্দ।
এসময় মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে মোট ৫০ জন কৃষক ও কিষাণী অংশগ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সগবি, বারি, ফরিদপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, এ.এফ.এম. রুহুল কুদ্দুস।
বাংলাদেশে প্রায় ১.৮৭ লক্ষ হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ আবাদ হয়ে থাকে এবং গড় ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ১৩.৫৬ টন। বর্তমানে বাংলাদেশে মোট চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের বেশ ঘাটতি রয়েছে। প্রতি বছর পেঁয়াজ আমদানি করে এ ঘাটতি পূরণ করা হয়। বারি উদ্ভাবিত উন্নত জাত (বারি পিঁয়াজ-৪) ও উৎপাদন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেঁয়াজের ফলন বাড়ানো সম্ভব।
মাঠ দিবসে আগত অতিথিবৃন্দ ও কৃষক কিষাণী বারি পিঁয়াজ-৪ এর মাঠ পরিদর্শণ করেন। এবং বারি পিঁয়াজ-৪ এর ফলন দেখে অভিভূত হন এবং আগামীতে বারি পিঁয়াজ-৪ দ্বারা কন্দ আবাদের আগ্রহ প্রকাশ করেন। লাল তীর কিং এর কৃষকের মাঠে ফলন হেক্টর প্রতি ২৩-২৪ টন। ধূসর লালচে বর্ণের এবং ঝাঁঝযুক্ত পিঁয়াজ বারি পিঁয়াজ-৪ এর হেক্টর প্রতি ফলন কৃষকের মাঠে প্রায় ২৮-৩০ টন। এছাড়াও গবেষণা বিভাগ কর্তৃক সারের মাত্রা নিরুপনের উপরও গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কৃষকেরা দেখতে পান মাটি পরীক্ষা করে সার ব্যবহার করলে বারি পিঁয়াজ-৪ এর ফলন বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদন খরচও অনেক কম হয়। কৃষকেরা বারি পিঁয়াজ-৪ এর বীজ প্রাপ্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্টজনকে অনুরোধ করেন। প্রধান অতিথি আগত কৃষক ও কিষাণীকে বারি পিঁয়াজ-৪ দ্বারা চারা পিঁয়াজ আবাদ করার জন্য আহ্বান জানান যাতে করে পিঁয়াজ কন্দের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয়।